ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩০টির বেশি দেশে সম্প্রসারণ করবে অ্যামেরিকা

ইউএনবি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭ ২০২৫, ০:৫৬ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৮ ২০২৫, ১:২৬

বিমানের ওপর ও নিচে ‘ট্রাভেল ব্যানড’ লেখা। ফাইল ছবি

বিমানের ওপর ও নিচে ‘ট্রাভেল ব্যানড’ লেখা। ফাইল ছবি

  • 0

সম্প্রতি ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার পর অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকের ওপর যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা আরও বাড়িয়ে ৩০টিরও বেশি দেশে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যামেরিকা।

সম্প্রতি ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার পর অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামকে বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম এ কথা জানান।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোম জানান, চলমান এ বিধিনিষেধ চলতি বছরের জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এ বছরের জুন মাসে ১২ দেশের নাগরিকদের অ্যামেরিকায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সঙ্গে সাতটি দেশের নাগরিকদের অ্যামেরিকায় প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়।

আফগানিস্তান, মিয়ানমার, শাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের ওপর তখন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। আর বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের অ্যামেরিকায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়।

চলতি সপ্তাহেই ওই ১৯টি দেশের নাগরিকদের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই স্থগিতাদেশের ফলে দেশগুলোতে গ্রিন কার্ডের আবেদন থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনসহ সব ধরনের অভিবাসন-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

এই তালিকায় নতুন করে আর কোন কোন দেশ যুক্ত হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বলে নোম জানান, বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল্যায়ন করছেন।

সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে ৩২টি দেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চান ইনগ্রাহাম।

এ বিষয়ে নোম বলেন, ‘সংখ্যা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলব না, তবে ৩০টির বেশি দেশে তা কার্যকর হবে। কোন কোন দেশ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে, প্রেসিডেন্ট তা মূল্যায়ন করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো দেশে স্থিতিশীল সরকার না থাকে, কোনো দেশে যদি এমন সরকার থাকে, যাদের টিকে থাকার সক্ষমতা নেই এবং যদি তারা নিজেদের নাগরিকদের পরিচয় সম্পর্কে আমাদের নিশ্চিত করতে না পারে বা যাচাই-বাছাইয়ে আমাদের সহায়তা করতে না পারে, তাহলে আমরা কেন সেই দেশের মানুষকে অ্যামেরিকায় আসতে দেব?’

এদিকে নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে কার্যকর হবে বা কোন কোন দেশ এতে অন্তর্ভুক্ত হবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেনি ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।