আমার সহায়তা ছাড়া ট্রাম্প জিততে পারতেন না: ইলন মাস্ক

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৬ ২০২৫, ১৪:২৭

ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি

ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি

  • 0

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে নিজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা জানালেন প্রযুক্তি খাতের আলোচিত উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমার সহায়তা ছাড়া ট্রাম্পের পক্ষে জেতা সম্ভব হতো না।’ তার এই মন্তব্য ঘিরে মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।

রাজনীতিতে ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্কে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। আলোচিত বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই তাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এবার প্রকাশ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জেরে সেই সম্পর্কের ফাটল ধরল।

অ্যামেরিকান প্রশাসন থেকে পদত্যাগের পরপরই ডনাল্ড ট্রাম্পের কর ছাড় ও ব্যয় বিল নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন ইলন মাস্ক। গত মঙ্গলবার বিলটিকে ‘জঘন্য’ উল্লেখ করে তা বাতিলেরও আহ্বান জানান। মাস্কের মতে, এই বিল দেশের বাজেট ঘাটতি বাড়াবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে মাস্কের ওই মন্তব্যের জবাব দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, ইলনের এমন কথায় হতাশ তিনি। এর ফলে তাদের সম্পর্ক আর আগের মতো থাকবে না। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মাস্ককে বাতিকগ্রস্ত বলেও অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর চুপ করে বসে থাকেননি মাস্ক। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ কথার জবাব দেন তিনি। এদিকে ট্রাম্প ও মাস্কের এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর টেসলার শেয়ারদর ব্যাপক হারে কমে গেছে।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের করা পোস্টের বরাত দিয়ে ‘তাস’ জানিয়েছে, মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তিনি লিখেছেন, বাজেটে হাজার কোটি ডলার সাশ্রয়ের সহজ উপায় হলো ইলনের সরকারি ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করা।

ডনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ইলন মাস্কের কটাক্ষ করা নিয়ে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না, সেটা আর থাকবে কিনা।’

ট্রাম্পের এই বক্তব্য যখন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল ঠিক তখনই ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লাইভ টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেছেন, তার সহায়তা ছাড়া ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জিততে পারতেন না। ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেও কড়া সমালোচনা করেন মাস্ক।