রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা যখন বিদেশ সফরে আসেন, তখন কূটনীতি, রাজনীতি ছাড়াও বড় একটি আলোচনার বিষয় থাকে গুরুত্বপূর্ণ অতিথির জন্য খাবারের আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন, তবে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রপ্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেলায় ঘটনা পুরোপুরি ব্যতিক্রম। কারণ, বিদেশে কোনো রাষ্ট্রীয় ভোজই গ্রহণ করেন না তিনি।
এ মুহূর্তে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছেন পুতিন। তার সঙ্গে কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও এসেছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত খাদ্য প্রস্তুতকারীর একটি দল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিদেশ সফরে খাদ্য গ্রহণে সামরিক রীতি মেনে চলেন পুতিন।
ভারতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আসা খাদ্য প্রস্তুতকারী দলের তত্ত্বাবধানে স্থাপন করা হয়েছে একটি আলাদা রান্নাঘর।
সেখানে সুনির্দিষ্ট শেফ কর্তৃক প্রস্তুত করা খাবারগুলো পুতিনের প্লেটে পৌঁছানোর আগে পরীক্ষা করা হয় কয়েক দফায়। এমনকি প্রতিবার বিদেশ সফরে এলে একটি বহনযোগ্য টেস্টিং ল্যাবও সঙ্গে রাখেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
কী খান পুতিন?
বিদেশ সফরে গেলে হোটেল, রেস্তোরাঁ কিংবা রাষ্ট্রীয় ভোজে সাধারণত অংশ নেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। পরিবর্তে মেনে চলেন নির্ধারিত ডায়েট পরিকল্পনা।
দেশ পরিচালনার মতো খাবারের ক্ষেত্রেও মেনে চলেন একই নীতি। সেটি হলো শৃঙ্খলা, সহজবোধ ও নিরাপত্তা।
বৈচিত্র্যময় খাবারের বদলে সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাবারগুলোই প্রাধান্য দেন পুতিন।
সাধারণত সকালটা শুরু করেন ফরগ নামের রুশ পনির ও মধু দিয়ে। সঙ্গে থাকে দুধ কিংবা পানিতে ভিজানো শস্য জাতীয় নরম খাবার।
শর্করার মাত্রা বেশ কম, কিন্তু উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এ খাবার খেয়ে তিনি শুরু করেন দিনের কর্মব্যস্ততা।
দুপুর ও রাতের খাবারে থাকে ধোঁয়ায় রান্না করা তাজা মাছের পদ। লাল মাংস এড়িয়ে চললেও মাঝেমাঝে ভেড়ার মাংস খেতে ভালোবাসেন পুতিন, তবে শর্ত একটাই; যেকোনো খাবারে মসলা হতে হবে পরিমিত।
এ ছাড়া মূল খাবারের সঙ্গে টমেটো, শসাজাতীয় সবজির সালাদ থাকে নিয়মিত।
সবশেষে থাকে তাজা ফলের শরবত, ভেষজ পানীয় কিংবা রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী বিটরুট ও হর্সর্যাডিশের জুস।