গেলো জুন মাসে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৯টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৯৬ জন। আহত হয়েছেন ১৮৬৭ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২০২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন১৮৭ জন। দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং প্রাণহানি ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৭টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৪টি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় ৬টি দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায় নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর সংখ্যা বেশি। এক মাসে নিহত মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর সংখ্যা ২২৮ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৯৬টি ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪ শত ৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকার মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনার অনেক তথ্য অপ্রকাশিত থাকে, সেজন্য এই হিসাবের সাথে আরও ৩০ শতাংশ যোগ করতে হবে। দুর্ঘটনায় যে পরিমাণ যানবাহন বা প্রপার্টি ড্যামেজ হয়েছে তার তথ্য না পাওয়ার কারণে প্রপার্টি ড্যামেজের আর্থিক পরিমাপ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
গত মে মাসে দুর্ঘটনায় ৫৮৭ জন নিহত হন। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে নিহত হন ১৮ দশমিক ৯৩জন। যা জুন মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে, ২৩ দশমিক ২ জনে। এই হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে প্রাণহানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারী এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দরকার। যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। এজন্য সরকারি উদ্যোগে সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনমুখি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।