নতুন এ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়া ব্যক্তিদের অ্যামেরিকার ভিসা দেয়া হবে না।
বুধবার দুপুরে করা এক টুইটে ব্লিনকেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য আজ আমি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এর আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অবমূল্যায়নকারী কিংবা এর সঙ্গে জড়িত বা দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর আমরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারি।‘
ইমিগ্রেশনঅ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২ (এ)(৩) (সি) এরঅধীনে নতুন এই ভিসানীতি ঘোষণা করেন সেক্রেটারি অফ স্টেইট।
অ্যামেরিকা বাংলাদেশকে গত ৩ মে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বলে স্টেইড ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন অ্যান্টোনি ব্লিনকেন।
নির্বাচনে বাধা দেয়ার হিসেবে যে বিষয়গুলো বিবেচিত হবে, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা না দেয়া, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীলসমাজ বা সংবাদমাধ্যমকে মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।'
ব্লিনকেন যোগ করেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও সংবাদমাধ্যমসহ সকলের। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সবার প্রতি সমর্থন রেখে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’