পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার রাতের দুর্ঘটনার পর থেকে গাড়ির চালক ব্রেট বাটনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিপজ্জনক ও অবহেলামূলক গাড়ি চালানোর একাধিক অভিযোগ আনা হবে। তাকে আদালতে হাজির করা হবে মঙ্গলবার।
জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিডনির উত্তরের নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেইটের হান্টার ভ্যালি এলাকার গ্রেটা শহরের ওয়াইন কান্ট্রিতে একটি গোলচত্বরে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল।
আস্ট্রেলিয়ার চ্যাপম্যান শহরতলি কর্তৃপক্ষ জানায়, গাড়ির যাত্রীরা ওয়ান্ডিন এস্টেইট ওয়াইনারিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সিঙ্গেল্টন শহরে ফেরার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকারীরা বিধ্বস্ত বাসের সামনের জানালা ভেঙে আটকা পরা যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
স্টেইট গভর্নমেন্ট জানায়, আহত ২৫ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ বলেছে, বাসে ৩৬ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ কমিশনার ক্যারেন ওয়েব বলেছেন, কী কারণে গাড়িটি এমন মারাত্মকভাবে উল্টে যায় তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ওয়েব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনি হয়তো দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে না। এর জন্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
‘বাসটির যাত্রীরা সিট বেল্ট পরেছিলেন কিনা সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’
বাসটির মালিক লিনক বাসলাইন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তাদের সব বাসেই পর্যাপ্ত সিট বেল্ট রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের ও তাদের পরিবারকে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি এর মাধ্যমে মানসিক ক্ষতি পূরণ হবে না।’
অ্যালবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এত সুন্দর জায়গায়, এত আনন্দের দিনে ভয়ানক দুর্ঘটনায় জীবনের ইতি ঘটা অত্যন্ত নিষ্ঠুর, দুঃখজনক ও অন্যায্য।
‘বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা তাদের অতিথিদের নিরাপদ রাখার জন্য বাসটি ভাড়া করেছিলেন। আর সেই বাসটিই এত বড় অকল্পনীয় একটি ট্র্যাজেডি হয়ে রইল।’
এর আগে ১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের একটি রাস্তা থেকে খাড়া বাঁধের ঢাল গড়িয়ে একটি বাস নিচে ছিটকে পড়ায় ১২ নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।