ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করল বাংলাদেশ

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১১ ২০২৩, ১৯:১৩

রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: ইউএনবি

রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: ইউএনবি

  • 0

ভারতীয় রুপিতে (আইএনআর) মঙ্গলবার বাণিজ্য লেনদেন শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অ্যামেরিকান ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ হিসেবে ভাবা হচ্ছে।

এ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকার একটি হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা (এ উদ্যোগ নিয়ে) দীর্ঘদিন ধরেই চলছে; ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসছিলেন... এখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।’

এখন ডলারের পাশাপাশি রুপিতেও ব্যবসা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে এবং দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।

টাকা-রুপির ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের সময় লেনদেনের খরচ কমে যাবে।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, ‘এই নতুন প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে। এটি বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কিছুটা চাপ কমাবে। যেখানে ব্যবসায়ীদের বিনিময় খরচেও কিছুটা সঞ্চয় হবে। মূলত এই প্রক্রিয়াটি আমাদের নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের নিশ্চিয়তা আনতে সাহায্য করবে।’

প্রণয় ভার্মা বলেন, বর্তমানে নির্ধারিত ভারতীয় ব্যাংকগুলো হলো স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক। আর মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো হলো সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড।

রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করার জন্য মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর প্রত্যেককে মনোনীত ভারতীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাধ্যতামূলক একটি বিশেষ রুপি ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খুলতে হবে।

ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতার পরেও উভয় পক্ষের সংকল্প ও ইচ্ছার কারণে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে নতুন গতি এসেছে।

‘আমরা কোভিড মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং এর মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। বর্তমান গ্লোবাল হেডওয়াইন্ড যা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে, তা আরেকটি চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে।’

অনুষ্ঠানে আরও দেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মো. সলিমুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডা চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন