নতুন এ চুক্তি অনুযায়ী ব্রেক্সিট পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃটেনকে অর্থনৈতিকভাবে আগের চেয়ে অনেক ঘণিষ্ঠভাবে সমর্থন করবে অ্যামেরিকা।
সুনাকের সঙ্গে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন জো বাইডেন। তিনি জানান যে তারা দুই দেশের শক্তিশালী সম্পর্কের ভিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৃটেনকে সবচেয়ে কাছে মিত্র উল্লেখ করে বাইডেন যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত যে অ্যামেরিকা ও বৃটেন বিশ্বকে বৃহত্তর শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে থাকবে।’
শুধু অর্থনৈতিক নয় আটলান্টিক ডিক্লারেশনের মাধ্যমে দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করা হবে।
সুনাকের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, নিরাপত্তা সহায়তা ও ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহারের প্রশিক্ষণের জন্য ধন্যবাদ জানান বাইডেন।
সুনাক তার বক্তব্যে আটলান্টিক ডিক্লারেশনকে একটি যুগান্তকারী ঘোষণা উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ধরনের অংশীদারিত্ব আগে কখনও হয়নি’।
রাশিয়া ও চায়নার মতো অন্য দুই বৃহৎশক্তির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে ইঙ্গিত করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফাইভজি, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি নিয়ে অ্যামেরিকা ও বৃটেন কাজ করবে বলে জানান তিনি।
তিনি যোগ করেন, ‘এআই নিরাপত্তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে ।’
চুক্তি অনুযায়ী বাইডেন কংগ্রেসকে অনুরোধ করবেন যেন বৃটিশ কোম্পানিগুলো অ্যামেরিকান সরকারের বিনিয়োগ থেকে আরও লাভবান হয়।