সালিভান জানান, এ পদক্ষেপ রাশিয়ার ওপর ‘জোরাল মানসিক চাপ প্রয়োগ’ করবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে পেন্টাগন।
ইউক্রেইনকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার যুদ্ধ সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ক্লাস্টার বোমা পাঠাচ্ছে অ্যামেরিকা।
ক্লাস্টার বোমায় মূলত একটি বড় বোমার ভেতরে অনেকগুলো ছোট ছোট আলাদা বিস্ফোরক থাকে। যা বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বিস্ফোরিত হয়। সবশেষ ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধে সময় অ্যামেরিকা এটি ব্যবহার করেছিল।
ক্লাস্টার বোমার ছোট অংশগুলো অনেক সময়ই অবিস্ফোরিত থেকে যায় যা বেসামরিক সাধারণ জনগণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে বাইডেন প্রথমে এ বোমা পাঠানোর বিষয়ে রাজি ছিলেন না। বিশ্বের অনেকগুলো দেশই এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু গত তিনসপ্তাহে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে অ্যামেরিকান কর্মকর্তারা নতুন করে ও গুরুত্ব সহকারে ক্লাস্টার বোমার কথা বিবেচনা করতে বাইডেনকে অনুপ্রাণিত করেন।
পেন্টাগন বাইডেনকে সুপারিশ করেছে যে ইউক্রেনের কাছে অস্থায়ী ভিত্তিতে এ অস্ত্র সরবরাহ করা হোক। অন্তত যতদিন না নন-ক্লাস্টার গোলাবারুদ আবারও সরবরাহ না করা হচ্ছে।
বেলারুশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন যে, এ সিদ্ধান্ত একটি ‘মরিয়া পদক্ষেপ’।
তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমা ‘বাজপাখিগুলো’’ বুঝতে পেরেছে যে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর বহু-চর্চিত পাল্টা আক্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তাই তারা অন্তত কিছু অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য যে কোনও মূল্যে চেষ্টা করছে।’’