বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচেও এনআইডি, দায়িত্ব পাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১২ ২০২৩, ১৩:১৮

বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার দায়িত্ব পাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার দায়িত্ব পাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

  • 0

বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আগামীতে ১৮ বছরের নিচেও যেকোনো বয়সে এনআইডি করা যাবে।

এসব বিধান রেখে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা।

নতুন আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হলে এনআইডি দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নিবন্ধকের অফিস নামের একটি সংস্থা। আর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকেদের ভোটার তালিকা করবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত এ আইনের আওতায় এখন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এ জন্য নিবন্ধকের কার্যালয় থাকবে। এই অফিসের প্রধান হবেন নিবন্ধক। তার মাধ্যমে কাজটি হবে।

‘এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, যেকোনো নাগরিক জন্মের পরপরই নাগরিক সনদ বা একটি নম্বর পাবেন। এই নম্বরটি অপরিবর্তিত হবে। যখন একজন নাগরিক এই নম্বরটি পাবেন, তখন পরিচয়ের জন্য আর কোনো নম্বর লাগবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য ইসি থেকে নতুন নিবন্ধকের দপ্তরে স্থানান্তর করা হবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এখন যাদের এনআইডি আছে সেগুলো কার্যকর বা চলমান থাকবে। বর্তমান নিয়মে কেবল ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীরা এনআইডি করতে পারেন। প্রস্তাবিত আইনে যেকোনো বয়সে এনআইডি করা যাবে।’

ভোগান্তি দূর করার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য হলো ধীরে ধীরে এই একটি (ইউনিক) পরিচয়পত্র নম্বরেই সব তথ্য রাখা। আইন পাস হওয়ার পর সরকার নির্ধারিত তারিখ থেকে নতুন নিবন্ধকের অফিসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধকের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “শরীয়তপুরে এবং ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। এ জন্য দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর’। আর ঠাকুরগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম হবে ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়।”

শরীয়তপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রস্তাবিত নাম ছিল ‘শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবে পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করার জন্য একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন