
তীব্র তাপপ্রবাহে নিরাপদ থাকার ৬ উপায়

টিবিএন ডেস্ক
আগস্ট ৬ ২০২৩, ১১:৩৩

অ্যামেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছবি: এপি
- 0
গ্রীষ্মের রোদ এ বছর অনেকের জন্য মজার হলেও সবার ক্ষেত্রে তা আনন্দ বয়ে আনেনি। তাপমাত্রা জুলাই মাসে বিশ্বব্যাপী শীর্ষে পৌঁছানোর সঙ্গে অ্যামেরিকা জুড়ে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলেছে। টানা এ তাপপ্রবাহ দক্ষিণ-পশ্চিমকে পুড়িয়ে মধ্য-পশ্চিম এবং দক্ষিণে প্রসারিত হয়েছে। এছাড়া মাঝে মাঝে অন্য অঞ্চলেও তাপপ্রবাহ চলেছে, যে অঞ্চলগুলো এ ধরনের চরমসীমায় পুরোপুরি অভ্যস্ত নয়।
এই ধরনের তাপের সংস্পর্শ কেবল অস্বস্তিকর নয়, এটা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। গ্রীষ্মের উত্তাপ আরও তীব্র হয়ে ওঠায় অভ্যন্তরীণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা একটি লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় বাইরে নিরাপদ থাকার নতুন উপায় খুঁজে পেলেই কেবল গ্রীষ্ম মৌসুম আনন্দ নিয়ে উপভোগ করা যেতে পারে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক চিকিৎসাবিজ্ঞানী সিসিলিয়া সোরেনসেন বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং জলবায়ু সম্পর্কিত প্রভাবের একটি জটিল সংকট দেখতে পাচ্ছি। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী আমরা দেখতে পাই টেক্সাস, আরকানসাস, লুইযিয়ানা, নিউ মেক্সিকো এবং ওকলাহোমাসহ এ অঞ্চলের হাসপাতালে গ্রীষ্মের তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা এবং জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ১৭০ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকানকে তাপ সতর্কতার অধীনে রাখা হয়েছিল। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো ২০২৩ সালে তাপজনিত অসুস্থতায় রেকর্ড ভাঙা বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা দেখবে দেশ।’
সোরেনসেন আরও বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ভয়ংকর দিক। এর প্রভাব থেকে মানুষ কীভাবে নিজেকে এবং অন্যদের রক্ষা করতে পারবে তা বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে এ ধরনের আবহাওয়ার ধরনগোলো দীর্ঘ সময়, আরও ঘন ঘন এবং আরও তীব্র হয়ে উঠছে।’
গরম, বিপজ্জনক গ্রীষ্মের জন্য মানিয়ে নিতে এবং প্রস্তুত করতে লোকজন কী পদক্ষেপ নিতে পারে সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সোরেনসেনসহ অন্য বিশেষজ্ঞরা।
ঘরের বাইরের কার্যকলাপে সতর্ক হোন
চরম গরমের মধ্যে কেবল মেইল সংগ্রহ বা কয়েক মিনিটের জন্য কুকুরকে হাঁটাতে বাইরে পা রাখাই সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরের ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে থাকা ভালো।
যদি ঘরের বাইরে যেতেই হয় তাহলে যতটা সম্ভব শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করুন। অ্যারিজোনার সবচেয়ে জনবহুল কাউন্টি এবং ফিনিক্সের শহর ম্যারিকোপা কাউন্টিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরের বাইরে তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০১২ সালে ছিল মোট মৃত্যুর ৫৮ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ শতাংশে।
হাইকিং এবং ক্যাম্পিং গ্রীষ্মের ছুটির প্রধান কার্যকলাপের মধ্যে রাখা হয়ে থাকে। এ বছর জাতীয় উদ্যানের মতো স্থানগুলো তাপজনিত অসুস্থতা এবং মৃত্যুর হটস্পটে পরিণত হয়েছে। জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় উদ্যানে জুনের শুরু থেকে তাপজনিত কারণে কমপক্ষে সাতজন মারা গেছেন, যার মধ্যে টেক্সাসের বিগ বেন্ড ন্যাশনাল পার্কে ১৪ বছর বয়সী এক বালক এবং ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাদা অঞ্চলের ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে ৭১ বছর বয়সী এক অভিজ্ঞ পর্বতারোহী রয়েছেন।
আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ পর্বতারোহী হন বা গরম জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হন তারপরেও বিশেষজ্ঞ এবং পার্ক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচণ্ড গরমের বর্তমান ঝুঁকি অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।
গ্লোবাল আউটডোর ইমার্জেন্সি সাপোর্ট-এর চিফ মেডিকেল অফিসার গ্রান্ট লিপম্যান বলেন, ‘কেউ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে গরমকে অস্বস্তিকর থেকে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠা থেকে রোধ করার জন্য প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানিটির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘গোস হেলথ’ গুরুতর তাপপ্রবাহসহ অন্যান্য অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করে।
লিপম্যান বলেন, পর্বতারোহীদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি সঙ্গে বহন করা উচিত এবং ফিরতি যাত্রার পরিকল্পনা করা উচিত, যাতে প্রাথমিক গন্তব্যে পৌঁছানোর চেয়ে বেশি সময় লাগে। তিনি সহযোগী সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আপনার বন্ধু আপনার আগে লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার মধ্যে তাপজনিত ক্লান্তির লক্ষণ ফুটে উঠছে কিনা।’
তাপ অসহনীয় মনে হতে শুরু করলে বা প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত পানি ফুরিয়ে যেতে দেখলে ঘুরে দাঁড়ান এবং ট্রেইলের শুরুতে ফিরে যান। আপনার অহংকে পিছনে ফেলে দিন। লিপম্যান বলেন, সামিট অন্য একদিনও করা যাবে।
লিপম্যান পর্বতারোহী এড ভিয়েস্টার্সের নীতিবাক্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘বাইরে যাওয়া ঐচ্ছিক, তবে ফিরে আসা বাধ্যতামূলক। বিষয়টি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যখন মাত্রাতিরিক্ত তাপ আমাদের ঘরের বাইরের ক্রিয়াকলাপগুলোকে প্রভাবিত করে।’
তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করুন
তাপমাত্রা অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করলে শরীর কতটা তরল হারাচ্ছে তা পরিমাপ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এমন সময়ে ধারাবাহিক তরল গ্রহণ করা অপরিহার্য। পানিশূন্যতায় প্রতিক্রিয়া জানানোর চেয়ে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সর্বদা উত্তম। এ কারণে বাইরে যাওয়ার আগে হাইড্রেটেড আছেন তা নিশ্চিত করুন। বাইরে থাকাকালীন তরল পান করা চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং হাইড্রেশনের গোল্ডেন রুল অনুসরণ করা উচিত। নিয়মটি হচ্ছে, আপনি যখন তৃষ্ণার্ত হবেন, তখনি পানি পান করুন।
লিপম্যান সাধারণ পানির সঙ্গে লবণাক্ত খাবার বা পানীয় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন ব্যায়াম করেন বা ঘামতে শুরু করেন, তখন কেবল তরলই হারাবেন না, সঙ্গে সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটও হারাবেন, যা আপনার দেহের কাজ করার জন্য প্রয়োজন।’
পরোক্ষ স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সতর্ক থাকুন
অতিরিক্ত তাপমাত্রা তাপ-সম্পর্কিত মৃত্যুর সাধারণ কারণ নাও হতে পারে, তবে এটি অন্যান্য কারণের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উচ্চ তাপমাত্রা রাসায়নিক অনুঘটক হিসেবে কাজ করে বাতাসে বিদ্যমান উপাদানগুলোকে ওজোন এবং অন্যান্য দূষণকারী উপাদানে রূপান্তর করে। এ প্রক্রিয়াটিতে বায়ুর গুণমান হ্রাস করে। সোরেনসেন বলেন, ‘এখনি হাই ইফেশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার ফিল্টারটি আবার বের করার সময় হতে পারে।’
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এলে ত্বক বা চোখের ক্ষতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ত্বকের ক্যানসারও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সানগ্লাস ও প্রশস্ত টুপির মতো অন্যান্য সুরক্ষার পাশাপাশি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিনের ডাবল স্তর আপনাকে সবচেয়ে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।
সোরেনসেন বলেন, ‘উচ্চতাপ হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন, রোসেসিয়া, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমরা তাপকে নীরব ঘাতক বলি, কারণ তাপপ্রবাহের সময় মৃত্যুর খুব কম শতাংশ হিট স্ট্রোকের কারণে হয়। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষ অতিরিক্ত তাপের প্রভাব নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে চাইতে পারেন। লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবহিত থাকা এবং জেনে-মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় মাথায় রাখুন
মানব দেহ ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তৈরি, তবে এরও একটি সীমা রয়েছে। অতিরিক্ত গরম হওয়া ঠেকাতে আমাদের শরীর ঘামতে থাকে। অতিরিক্ত তাপ এবং আর্দ্রতায় খুব বেশি ঘামের মধ্যে পেশী সক্রিয় রাখতে আমরা প্রয়োজনীয় লবণ এবং ইলেক্ট্রোলাইট হারাতে পারি। এটি মাসল ক্র্যাম্পের দিকে ধাবিত করে। সাধারণত পা বা পেটে এ সমস্যা দেখা যায়, যা প্রায়ই তাপজনিত ক্লান্তির প্রথম লক্ষণ। তখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হয়, ফলে মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। গুরুতর ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক, ডেলিরিয়ামের লক্ষণ দেখা যেতে পারে এবং চেতনা হারাতে পারে।
সোরেনসেন বলেন, ‘আপনি যদি তাৎক্ষণিক হাসপাতালে না যান কিংবা ৩০ মিনিটের মধ্যে (হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেয়ার পরে) শীতল না হন, তাহলে স্থায়ী ক্ষতির দিকে ধাবিত হবেন।’
এর ফলে মাসল ক্রাম্প হতে শুরু করে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হার্ট অতিরিক্ত কাজ করে। এটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে। সোরেনসেন উল্লেখ করেছেন, হিট স্ট্রোকের বিপজ্জনক শারীরিক অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর লক্ষণগুলো কয়েক ঘণ্টা বা দিন ধরে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করতে পারে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ইমার্জেন্সি মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ম্যাথিউ লেভি বলেন, ‘তাপ সহনশীলতা ব্যক্তি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। বয়স, চিকিৎসা পরিস্থিতি এবং উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার উপর ভিত্তি করে মানুষ একই তাপ প্রবাহের ক্ষেত্রে আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম রয়েছে যা সবার জন্য প্রযোজ্য, কেউ যত বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড তাপের সংস্পর্শে আসে, তার তাপ সম্পর্কিত অসুস্থতার ঝুঁকি তত বেশি।’
নিজের বা আশেপাশের কারও মধ্যে তাপজনিত ক্লান্তি বা স্ট্রোকের লক্ষণ লক্ষ কলে কীভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে তা জেনে রাখা ভালো। শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা শীতল করার জন্য অবিলম্বে একটি ছায়াযুক্ত বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গার সন্ধান করুন। শীতল হওয়ার অন্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ত্বক ভেজানো, ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে রাখা এবং সম্ভব হলে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা।
লেভি বলেন, ‘ঠান্ডা পানিতে ডুব দেয়া আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।’
ঘর ঠান্ডা রাখুন
তাপপ্রবাহের কঠিন সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঘরের ভেতরে আরামদায়ক অবস্থা তৈরি করতে পারে। তবে গ্রীষ্মের সময় বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। থার্মোস্ট্যাটটি আপনার পছন্দসই তাপমাত্রার কয়েক ডিগ্রি উপরে তুলে রাখতে পারেন। বিদ্যুতের খরচ বাঁচানোর জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাবলিক স্পেস যেমন লাইব্রেরি, কফি শপ, থিয়েটার বা মলগুলোতে দিনের উষ্ণতম ঘণ্টা ব্যয় করতে পারেন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় আপনার বাড়িটি গরম হওয়া থেকে রক্ষা করতে দিনের বেলা পর্দাগুলো বন্ধ রাখুন। ব্যাটারিচালিত ফ্যান উইন্ডোসিলের মতো জায়গায় রাখুন, যেখানে এগুলো শীতলতম বাতাস রুমে নিয়ে আসতে পারবে। তবে ইনডোর তাপমাত্রা প্রায় ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট অতিক্রম করলে ফ্যানগুলো বিপরীত কাজ করতে পারে এবং একটি ঘরকে কনভেকশন ওভেনে পরিণত করতে পারে। এ পর্যায়ে ফ্যান শরীরের উপর গরম বাতাস প্রবাহিত করে এবং তাপ হারানোর পরিবর্তে শরীর তাপ অর্জন করে।
অন্যদের খেয়াল রাখুন
অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু মানুষ অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে বয়স্ক, ছোট শিশু, দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা নেয়া ব্যক্তি এবং প্রয়োজনীয় বাইরের কাজ করা কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত। তাপমাত্রার চরম সীমাগুলো এমন মানুষের উপরে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও ফেলতে পারে।
আপনার আশেপাশের কোন মানুষ তাপ নিয়ে সংবেদনশীল তা জানতে হবে। তাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি থাকায় বাড়তি যত্ন নিতে হবে। একা বসবাসকারীদের জন্য নিয়মিত সুস্থতা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ‘সকালের নাস্তায় আপনি কী খেয়েছিলেন?’-এর মতো মৌলিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে বা একটি ফোন কল করেও বোঝা যেতে পারে যে কেউ বিভ্রান্ত কিনা।
লেভি বলেন, ‘তাপপ্রবাহ আরও সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠতে চলেছে। আর তাই সহনশীলতা গড়ে তুলতে এবং একে অপরের যত্ন নিতে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি সে সম্পর্কে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।’