শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৩৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় কফিশপ কোম্পানি স্টারবাকস।
কর্মীদের আন্দোলনের মুখে সোমবার এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে এ আন্দোলনে যোগ দিয়ে সংহতি জানান নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে জয়ী জোরান মামদানি ও ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।
নিউ ইয়র্ক সিটির ইতিহাসে এটিই কর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ বলে জানিয়েছে সিটি হল।
তিন সপ্তাহ ধরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন স্টারবাকসের কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি তাদের তিন শতাধিক শপে কোনো আগাম নোটিশ না দিয়েই কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজের সময় পরিবর্তন করে দিয়েছে, যার ফলে বিপাকে পড়েন প্রায় ১৫ হাজার কর্মী।
এ আন্দোলনে সোমবার যোগ দেন সিটির মেয়র পদে জয়ী জোরান মামদানি।
তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কের প্রতিটি নাগরিকের সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে।
নিজের স্ত্রীকে নিয়ে এ আন্দোলনে যোগ দেন স্বতন্ত্র সিনেটর ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী বার্নি স্যান্ডার্স।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইওদের হাতে ৬০ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত আছে, যে সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
এরপরই অবশ্য স্টারবাকসের পক্ষ থেকে সমঝোতার ঘোষণা আসে।
সমঝোতা অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ হিসেবে কর্মীদের সাড়ে ৩৫ মিলিয়ন এবং সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কনজিউমার অ্যান্ড ওয়ার্কার প্রটেকশনকে তিন মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে তারা।
এ চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টার জন্য কর্মীরা ৫০ ডলার করে বেতন পাবেন।
মেয়র এরিক অ্যাডামসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলছে, সিটির ইতিহাসে কর্মীদের সুরক্ষায় এটি সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ঘটনা। যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মীদের অধিকার নিয়ে অনিয়ম করছে, আগামী দিনে তাদের জন্য এটি সতর্কবার্তা।