
মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড:
আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি: পুলিশ

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১২ ২০২৫, ১০:৪৮ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৩ ২০২৫, ১৫:২২
.jpg)
সোহাগ হত্যাকাণ্ডে আটক দুইজন। ছবি: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
- 0
চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যাকাণ্ডে চাঁদাবাজির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দিন। শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগ হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভাঙারি দোকানের নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরেই সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে।
উপ-কমিশনার বলেন, পারস্পরিক ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড। আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, নিহত সোহাগ হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিরা একইসঙ্গে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন। তবে শুধুই কি ব্যবসা, নাকি অন্য কোনো বিষয় আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ভিডিও ও সাক্ষীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান লালবাগের এই উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দিন।
এর আগে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের কাছে ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে টেনেহিঁচড়ে নিজ দোকান থেকে বের করে হত্যা করা হয় শত শত জনতার সামনে। তারা তাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে এবং মাথা থেঁতলে নিশ্চিত করে তার মৃত্যু। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের সময় আসামি তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তা ছাড়া র্যাব এজাহারভুক্ত আসামি মনির ও আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদিকে হাসানকে ৫ দিনের জন্য এবং রবিনকে দুদিনের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৯ তারিখ রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।