শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি, বন্যায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩৩৫

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১ ২০২৫, ১০:৫৫ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ২ ২০২৫, ১৩:০৮

বন্যায় ডুবে যাওয়া শ্রীলঙ্কার একটি এলাকা। ছবি: রয়টার্স

বন্যায় ডুবে যাওয়া শ্রীলঙ্কার একটি এলাকা। ছবি: রয়টার্স

  • 0

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় বর্ষাকাল। তবে ডিটওয়ার প্রভাবে এ বছর বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধ্বস হলে বন্যা দেখা দেয়।

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যাওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, কয়েকদিন ধরে শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩৩৫জন মানুষ নিহত হয়েছেন। বন্যা ও ভূমিধ্বসে নিখোঁজ হয়েছেন ৩৩৬ জন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ।

জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, ভয়াবহ এ বন্যায় শ্রীলঙ্কায়১৫০০০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ২০০টি সড়ক ও ১০টি ব্রিজ ভেঙে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। সুপেয় পানি ও খাবারের সংকট তৈরি হয়েছে তীব্রভাবে।

এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আনুরা কুমার দিসানায়েক।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দিসানায়েক। পাশপাশি সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার ও জরুরি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় বর্ষাকাল। তবে ডিটওয়ার প্রভাবে এ বছর বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধ্বস হলে বন্যা দেখা দেয়।