আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান সোমবার বাসসকে বলেন, ‘১৮ এপ্রিল থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৯-২০ এপ্রিলের দিকে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২৩ এপ্রিল থেকে সিলেট সুনামগঞ্জসহ হাওড় এলাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২৩ এপ্রিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। তাই দীর্ঘ তাপদাহের পর আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’
ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত যানবাহন, ঘরে ঘরে এয়ারকন্ডিশনিং-এর তাপ এবং নির্মাণকাজের ফলে সৃষ্ট তাপ অন্যতম কারণ বলে তিনি মনে করেন। আজিজুর রহমান বলেন, ‘এ কারণে হয়ত ঢাকার পাশের মানিকগঞ্জে জেলাতেই তাপমাত্রা ঢাকার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম।‘
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা সোমবার বিকেল ৩টার আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাসসকে জানান, চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ঈশ্বরদীতে। সোমবার বেলা ৩টায় ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ছিলো ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, ‘বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোনো কোনো এলাকায় সোমবার ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঢাকার অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।‘
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।