বুথেলেজি বলেন, ‘হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সন্দেহ করা হচ্ছে, তাকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।’
সাউথ আফ্রিকায় চিকিৎসা নিতে অস্বস্তি বোধ করায় ৪৮ বছর বয়সী রাজাকে এসওয়াতিনির একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
বুথেলেজি বলেন, ‘আমাকে জানানো হয়েছিল মহামান্য সাউথ আফ্রিকায় চিকিৎসা নিতে অস্বস্তি বোধ করেন। কেননা তার বাবা-মা দুজনই এখানে চিকিৎসা নেয়ার পর মারা গেছেন।’
কয়েক হাজার প্রজার সামনে গত অক্টোবর রাজার মুকুট পরেন মিসুজুলু। তবে তার রাজা হওয়া কেন্দ্র করে রাজপরিবারে চলতে থাকে ক্ষমতার লড়াই। পরিবারের একটি দলের দাবি, তিনি তার প্রয়াত বাবা রাজা গুডউইল জুয়েলথিনির সঠিক উত্তরাধিকার নন।
প্রয়াত রাজার আরেক ছেলে প্রিন্স সিমাকাদের রাজা হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন অনেকে।
রাজা জুয়েলথিনির ছয় স্ত্রী ও ২৬ সন্তান ছিল। তার প্রথম স্ত্রী রানি সিবোঙ্গাইল ড্লামিনি-জুলু এবং তার দুই মেয়েও আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন। গত বছর একটি আদালত তাদের মামলা খারিজ করে।
রাজা মিসুজুলুর সন্দেহভাজন বিষক্রিয়ার পেছনে রাজপরিবারের কোনো সদস্যের হাত রয়েছে কি-না সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ দাবির বিষয়ে সাউথ আফ্রিকার পুলিশ এখনও মন্তব্য করেনি।
জুলু রাজার আনুষ্ঠানিক কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই। বৃহত্তর সাউথ আফ্রিকার সমাজে রাজার ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক। তবে বার্ষিক কয়েক মিলিয়ন ডলারের সরকারি বাজেটের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকেন।
বিবৃতিতে প্রধান সহকারী বুথেলেজি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় রাজার সুস্থতা। আমরা জুলু জাতি হিসেবে মহামহিমের পূর্ণ ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করি… তদন্তের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।’
এর আগে কা-জুয়েলিথিনির এক সিনিয়র উপদেষ্টা সন্দেহভাজন বিষক্রিয়ায় মারা যান।