
‘যে বেতন-ভাতা পাই, তা দিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলা অত্যন্ত কঠিন’

শরিফুল ইসলাম, নিউ ইয়র্ক
প্রকাশিত: মে ২৭ ২০২৫, ১৭:০০

নিউ ইয়র্ক সিটির আগামীর মেয়রের কাছে নিজের প্রত্যাশা টিবিএনকে জানান বাংলাদেশি কমিউনিটির বর্ষীয়ান এক সদস্য। ছবি: টিবিএন
- 0
ভোটাররা চান, আগামীর মেয়র সিটির আবাসন সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবেন।
চলতি বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি।
সিটির ভোটাররা এরই মধ্যে আলোচনায় মেতে উঠেছেন আগামী মেয়র নির্বাচন নিয়ে।
তাদের প্রত্যাশা, নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের উপযোগী করে সিটিকে ঢেলে সাজাবেন।
নগরবাসীর সমস্যা অনুধাবন করে যিনি দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেবেন, তাকেই বেছে নিতে চান ভোটাররা।
আবাসন সংকট, অপরাধ নিরসন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা
দিনে দিনে পৃথিবীর ব্যয়বহুল সিটিগুলোর একটি হয়ে উঠছে নিউ ইয়র্ক। এখন ম্যানহাটনে একটি ছোট পরিবারের বসবাসের জন্য ন্যূনতম ভাড়া গুনতে হয় অন্তত তিন হাজার ডলার।
শুধু বাড়ি ভাড়াই নয়, নিত্যপণ্যের দামও হাতের নাগালের বাইরে।
ভোটাররা চান, আগামীর মেয়র সিটির আবাসন সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবেন।
সাড়ে তিন মিলিয়নের বেশি নগরবাসী সাবওয়ে ব্যবহার করে থাকেন। সাবওয়েসহ সিটির অনেক এলাকার অপরাধ প্রবণতা এখন নগরবাসীর বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তাই তারা চান নতুন মেয়র আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যত্নবান হবেন।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি কমিউনিটির বর্ষীয়ান এক সদস্য বলেন, ‘যে বেতন-ভাতা পাই, তা দিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।‘
আরেক বাংলাদেশি-অ্যামেরিকান বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার বাস করে এই সিটিতে এবং সবচেয়ে বেশি হোমলেস পপুলেশনও বাস করে এই সিটিতে।’
দারিদ্র্য বিমোচন ও গৃহায়ণ সংকট নিরসন চান জানিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির এক সদস্য বলেন, ‘আমাদের এমন একজন মেয়র দরকার, যিনি আমাদের ক্রাইম (অপরাধ), পোভার্টি (দারিদ্র্য), হাউজিং (আবাসন), বিভিন্ন ক্রাইসিস নিয়ে কাজ করতে পারবে।’
মুসলিমদের পবিত্র দিবস ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছুটি দাবি
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বসবাস করেন নিউ ইয়র্কে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কেন্দ্রবিন্দুও এ অঞ্চল। এর পরও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বর্ণ বৈষম্যের খবর শিরোনামে উঠে আসে।
মুসলিম ও ইহুদিবিদ্বেষ দূর করাসহ নিউ ইয়র্কের উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেবেন আগামীর মেয়র, এমন প্রত্যাশা ভোটারদের।
এ বিষয়ে এক বাংলাদেশি-অ্যামেরিকান বলেন, ‘ডিফারেন্ট কালচার, ডিফারেন্ট রিলিজিয়নের ভিউ, এজ এ মুসলিম হিসেবে আমাদের যে হলিডেগুলো আছে, ওগুলোতে যাতে আমরা ছুটি পাই, সেইভাবে আমি চাব এমন একজন মেযর নিউ ইয়র্ক সিটিতে আসুক।’
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমর্থনের আশা
বাংলাদেশি কমিউনিটির এক নারী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা জাতি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চাচ্ছি। আর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষ সেখানে বসবাস করে। তো তাদের জন্য যাতে সমর্থন থাকে, এ রকম একজন মেয়র চাই।’