সূত্রের বরাতে সিএনএন
ইরানে হামলার চিন্তা থাকলেও বড় যুদ্ধ চায় না ট্রাম্প প্রশাসন

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৯ ২০২৫, ১:০৮

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

  • 0

সিএনএনের খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলোর শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতকে দীর্ঘ হতে না দেওয়ার চেষ্টা।

ইসরায়েলের যুদ্ধে যুক্ত হয়ে ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা ছোড়ার মতো পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, তবে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধে না জড়িয়ে অ্যামেরিকা কীভাবে এসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে।

বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আশঙ্কাকে সত্যি করে শুক্রবার শুরুর সময়ে ইরানে হামলা চালায় প্রধামন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল। এর জবাবে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে ড্রোনের পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরান। তেহরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাও চলছে প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে।

ইসরায়েলের ওই হামলায় অ্যামেরিকা সরাসরি জড়িত না থাকলেও আক্রমণের বিষয়ে সব তথ্য আগে থেকে জানতেন বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিভিন্ন সময়ে তিনি ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত এড়ানোর কথা জানালেও তেল আবিবের চাপে এবারের সংঘাতে ঘনিষ্ঠ পক্ষ ওয়াশিংটনের যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

এমন বাস্তবতায় সিএনএনের খবরে জানানো হয়, ট্রাম্পের জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলোর শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতকে দীর্ঘ হতে না দেওয়ার চেষ্টা।

সূত্রগুলো জানায়, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির আকাঙ্ক্ষা একমাত্র অ্যামেরিকাই সন্দেহাতীতভাবে শেষ করে দিতে পারে বলে নেতানিয়াহুসহ অন্য অনেকের যুক্তি মানতে রাজি ট্রাম্প, তবে দেশের বাইরে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের মতো সংঘাতে আটকে পড়া নিয়ে গভীর উদ্বেগে রয়েছেন তিনি।

ইসরায়েলের যুদ্ধে জড়ালে মধ্যপ্রাচ্যে অ্যামেরিকার সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের সহজ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। এ ছাড়া অ্যামেরিকার যেকোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যার প্রভাবে মুহূর্তের মধ্যে অস্থির হয়ে যেতে পারে জ্বালানি তেলের বাজার।

ইউরোপের দুজন কূটনীতিক সিএনএনকে জানান, সপ্তাহান্তজুড়ে অ্যামেরিকার কিছু মিত্র এমন বার্তা পান যে, সংঘাতের প্রথম সপ্তাহে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটি দেখতে চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ভিত্তিতে প্রশাসন সংঘাতে অ্যামেরিকার যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছে।