ভারতের উত্তর প্রদেশে চার সন্তানের জননী এক নারীকে হত্যা করেছেন তার সঙ্গে সম্পর্কে থাকা ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ।
পুলিশের বরাতে এনডিটিভি মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।
তরুণটি পুলিশকে জানান, ওই নারী তাকে কম বয়সী দেখাতে ইনস্টাগ্রামের ফিল্টার ব্যবহার করতেন। এ কারণে সম্পর্কে থাকার পরও তাকে বিয়ে করতে চাননি তিনি।
মেইনপুরির পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং জানান, জেলার কারপারি গ্রামের কাছে গত ১১ আগস্ট অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পায় পুলিশ। তার গলায় শ্বাসরোধে হত্যার চিহ্ন ছিল। এ থেকে পুলিশ তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করে। ময়নাতদন্তে সে সন্দেহ সত্যি প্রমাণ হয়।
তিনি জানান, উত্তর প্রদেশের কয়েকটি থানায় খোঁজ নেওয়ার পর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, ওই নারী ফররুখাবাদের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপারের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত অরুণ রাজপুতকে শনাক্তের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এতে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয় তার। তারা দেড় বছর ধরে পরস্পরের বন্ধু।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, দুই মাস আগে দুজনের মধ্যে নম্বর আদান-প্রদান করেন ভুক্তভোগী ও তরুণ। তারা নিয়মিত নিজেদের মধ্যে ফোনালাপও শুরু করেন। তারা কয়েকবার দেখাও করেন।
রাজপুতের সঙ্গে দেখা করতে গত ১১ আগস্ট ফররুখাবাদ থেকে মেইনপুরি যান ওই নারী।
তরুণটি পুলিশকে জানায়, ওই নারী বিয়ে করার জন্য কয়েকবার তাকে চাপ দেন। দেখা হওয়ার পর আবারও সে বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি।
ভুক্তভোগী দেড় লাখ রুপি ধার দিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানান তরুণ। তার ভাষ্য, দেখা হওয়ার তরুণের কাছ থেকে ধার দেওয়া অর্থ ফেরত চান নারী।
পুলিশ সুপার অরুন কুমার সিং জানান, নারীর চাপে ক্ষুব্ধ ছিলেন তরুণ। এ কারণে ভুক্তভোগীর গায়ে থাকা ওড়না গলায় প্যাচিয়ে তাকে হত্যা করেন তিনি। তারপর নারীর ফোনটি নিয়ে সিম কার্ড সরিয়ে ফেলেন তরুণ।
পুলিশ জানায়, ফোনটি উদ্ধার করে দুজনের মধ্যে চালাচালি হওয়া খুদেবার্তা দেখেন তারা। রাজপুতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারীকে হত্যার জন্য।
হত্যার পেছনে নারীর বয়স কোনো ভূমিকা রেখেছে কি না, তা জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই নারী ইনস্টাগ্রামের একটি ফিল্টার ব্যবহার করতেন, যা তাকে কম বয়সী দেখাত। প্রথমবার নারীর সঙ্গে দেখা হওয়ার তার প্রকৃত বয়স বুঝতে পারেন তরুণ। ওই নারী বিবাহিত এবং চার সন্তানের জননী ছিলেন। এসব কারণে তাকে বিয়ে করতে চাননি তরুণটি।