মেটাকে প্রকাশ্য সমর্থনের ফলে চায়নার প্রথম ই-কমার্স সাইট হিসেবে কোনো অ্যামেরিকান টেক জায়ান্টকে চায়নিজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেবে আলিবাবা। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, দেশটির ব্যবহারকারীরা মেটার লামা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক মডেলের বাইরেও প্রোগ্রাম বিকাশের সুযোগ পাবে।
ওপেনএআই ও গুগলের বিক্রিত বেশি দামের মডেলগুলোর গ্রাহকদের জন্য চলতি মাসে লামার নতুন বাণিজ্যিক ভার্সন ‘লামা টু’ বাজারে এনেছে মেটা।
মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওপেনএআই ও গুগলের মডেল ব্যবহারকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বিনামূল্যে মেটার শক্তিশালী লামা টু মডেলের অ্যাক্সেস পাবে।
মডেলটি লঞ্চের সময় মেটা বলেছিল, লামা টু গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তাদের প্রথম পছন্দ অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। অবশ্য অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও লামা টুয়ের অংশীদারত্বের সুযোগ দেয়ার কথা জানায় মেটা।
আলিবাবা ক্লাউড মঙ্গলবার তাদের উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, ‘আজ আলিবাবা ক্লাউড চায়নায় সম্পূর্ণ লামা টু সিরিজের জন্য প্রথম প্রশিক্ষণ ও স্থাপনা সমাধান চালু করেছে। আলিবাবা ক্লাউডে কাস্টমাইজড বড় মডেল তৈরি করতে বিশ্বের সব ডেভেলপারদের স্বাগতম।’
লামা টুয়ের অংশীদারত্বের ফলে মেটার সঙ্গে আলিবাবার সম্পর্ক, প্রতিষ্ঠানটির ক্লাউড ব্যবসার গ্রাহকদের ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চায়নার টেক মার্কেটে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে শিগগিরই স্টক মার্কেটে আলিবাবার তালিকাভুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
অবশ্য অ্যামেরিকা সক্রিয়ভাবে এআই সম্পর্কিত অনেক উন্নত অ্যামেরিকান প্রযুক্তিতে (বিশেষ করে এআই সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে) চায়নিজ সংস্থাগুলোর অ্যাক্সেস ও অংশীদারত্ব সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তবে লামা টুয়ের অ্যাক্সেসের মধ্য দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চায়নার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ পাবে পরাশক্তি অ্যামেরিকা।
বেশ কিছু পশ্চিমা টেক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে চায়নায় বছরের পর বছর ধরে নিষিদ্ধ রয়েছে মেটার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ফেসবুক’। লামা টু প্রযুক্তির সবশেষ ভার্সনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলিবাবা ক্লাউড তাদের নিজস্ব এআই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মেটার তথ্য অনুসারে, ৭০০ মিলিয়নের কম মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংস্থাগুলোর জন্য লামা টু বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। তবে এই সংখ্যা অতিক্রম করলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেটা থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
আলিবাবা জানিয়েছে, যদি কোনো চায়না ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান চায়নার জনগণকে প্রযুক্তি পরিষেবা দিতে লামা টু ব্যবহার করতে চায় তবে তাদের চায়নার প্রযুক্তি আইন মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে দেশটির ক্ষতি করতে পারে এমন যেকোনো অনুশীলন ও বিষয়বস্তুতে লামা টু ব্যবহারে তাদের বিরত থাকতে হবে।