অভিযোগ ওঠে, দায়িত্বশীল পদে থেকে সরকারি বাসভবনে তার এ ধরণের ছবি তোলা অশোভন। এর জের ধরেই ছেলেকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
শোতারোর ওই পার্টি ছিল গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর। ইয়ার এন্ড উদযাপনের আয়োজন ছিল সেটি। দেশটির সাপ্তাহিক ম্যাগাযিন শুকান বুনশুন ওই পার্টির কিছু ছবি প্রকাশ করে, যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ছবিতে দেখা যায়, স্বজনদের নিয়ে সিঁড়ির লাল গালিচায় দাঁড়িয়ে আছেন শোতারো। তার ও ছবিতে থাকা অন্যদের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
গ্রুপ ছবিতে সবার মাঝে দেখা যায় শোতারোকে। অভিযোগ ওঠে, বাবা কিশিদা ও তার নবনিযুক্ত মন্ত্রীপরিষদের কেবিনেটে তোলা গ্রুপ ছবির অনুকরণ করে শোতারো ওই ছবি তোলেন। আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, সংবাদ সম্মেলন করার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে অনুকরণ করে এ ধরণের ছবি তোলায় ক্ষোভ জানায় বিরোধীদলসহ অনেকে।
কিশিদা সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় শোতারোর আচরণ ছিল অশোভন। দায়বদ্ধতা থেকে আমি তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির পদে শোতারোর বদলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আরেক সেক্রেটারি তাকায়োশি ইয়ামামোতোকে।
কিশিদা জানান, ওই পার্টিতে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তবে অতিথিদের বরণ করেই তিনি চলে যান।
তিনি বলেছেন, ওই আচরণের জন্য ছেলেকে কঠোরভাবে তিরস্কার করেছিলেন। তাতেও বিরোধী দলের সমালোচনা থেমে থাকেনি, জনগণের ক্ষোভও কমেনি। জনপ্রিয়তায় তার রেটিংও এই ছবির কারণে নিচে নেমে গেছে।
এসব কারণে অবশেষে ছেলেকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী কিশিদা।