ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তানের আঘাতে বড় ক্ষতি: আইএসপিআর

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১১ ২০২৫, ১৮:৫৬ হালনাগাদ: সেপ্টেম্বর ২ ২০২৫, ১৬:১৪

পাকিস্তান আইএসপিআরের ডিজি আহমেদ শরিফ চৌধুরী। ছবি: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

পাকিস্তান আইএসপিআরের ডিজি আহমেদ শরিফ চৌধুরী। ছবি: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

  • 0

আইএসপির ডিজি আহমেদ শরিফ চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সর্বমোট ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে যেসব স্থাপনা থেকে পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসে ইন্ধন দেওয়া হয়, সেগুলোও রয়েছে।

ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায় দাবি করে দেশটির আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) রবিবার জানিয়েছে, এসব আক্রমণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আইএসপির ডিজি আহমেদ শরিফ চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সর্বমোট ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে যেসব স্থাপনা থেকে পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসে ইন্ধন দেওয়া হয়, সেগুলোও রয়েছে।

তিনি বলেন, “অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুসের আওতায় পাকিস্তানের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় ‘ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’ (আইআইওজেকে) ও ভারতের মূল ভূখণ্ডের বেশ কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিল।”

এ কর্মকর্তা জানান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সুরাটগড়, সিরসা, পুচ, নালিয়া, আদমপুর, ভাটিন্ডা, বারনালা, হালওয়ারা, অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, উধামপুর, মামুন, আমবালা ও পাঠানকোটে অবস্থিত ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও অন্যান্য বিমান ঘাঁটি।

তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ অন্য লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে ফায়াজ ও নাগ্রতায় থাকা ব্রহ্ম ক্ষেপণাস্ত্র মজুত স্থাপনা। এসব জায়গাকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার স্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আইএসপিআর ডিজি জানান, ভারতের আদমপুর ও পুচে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যাটারি ধ্বংস করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। উরিতে থাকা ভারতের ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো ও পুচে অবস্থিত রাডার স্টেশনে হামলা চালানো হয়েছে।

সীমান্তবর্তী দুই দেশের সংঘাতের মধ্যে গত ১০ মে শুরুর সময়ে পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এর জবাবে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ শুরু করে পাকিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ওই দিন বিকেলে যুদ্ধবিরতি শুরু করে দুই দেশ।