শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং প্রবাসি ভোটার তালিকা তৈরি ছাড়া এবার নির্বাচন কমিশনের তেমন কোন চেলেঞ্জ নেই।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কে এম নূরুল হুদা, আর ২০২৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ওই সময়ে যারা ‘নির্বাচনী অপরাধ’ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে বিচারের সুস্পষ্ট আইন থাকলেও শপথ ভেঙে যেসব কমিশনার ‘অপরাধে জড়িয়েছে’, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার হবে তা নির্ধারণ করা উচিত।
বদিউল আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরি। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে।’
আগামী নির্বাচনে বর্তমান কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ ‘থাকবে না’, এর ফলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যদিও সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না।