কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, চায়নার তৈরি ক্ষতিকর এই কম্পিউটার কোড অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাওয়ার গ্রিড, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পানি সরবরাহের নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। এগুলো অপসারণ না করা গেলে সামরিক যোগাযোগ ও কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে।
কংগ্রেসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ‘ম্যালওয়্যারটি একটি টিকিং টাইম বোমা… এর মাধ্যমে শুধু সামরিক সেনারা নন, অনেক বেসামরিক নাগরিকও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
এর মাধ্যমে চাইনিজ হ্যাকাররা অ্যামেরিকার সঙ্গে সংঘাতে যে কোনো সময় সামরিক অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে বলে মনে করছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তাইওয়ান ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চায়নার পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ বিরোধ দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে চায়নায় ইউএস অ্যাম্বাসেডর নিকোলাস বার্নসের ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়। এ মাসের শুরুতে মাইক্রোসফট ও হোয়াইট হাউয জানিয়েছে, চায়না ভিত্তিক হ্যাকাররা কিছু ফেডারেল সংস্থাসহ দুই ডজন সংস্থার ইমেল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে।
সংস্থাগুলোর মধ্যে স্টেইট ডিপার্টমেন্ট এবং ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স ছিল- যারা এর আগে চায়নার টেলিকম সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
চায়নাকে সাইবারস্পেসে ইউএস প্রতিপক্ষের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত হিসেবে স্বীকার করেন ইউএস কর্মকর্তারা।
এফবিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, অন্য সব দেশের সম্মিলিত হ্যাকিং প্রোগ্রামের চেয়ে চায়নার হ্যাকিং প্রোগ্রাম অনেক বেশি শক্তিশালী।