প্রকাশনা সংস্থাটি প্রতি বছর এই জরিপ করে। বসবাস উপযোগী শহর নির্বাচনে জীবনধারণের খরচপাতি, বাড়ির ক্রয়ক্ষমতা, পণ্যমূল্যের মতো কিছু ফ্যাক্টর দেখা হয়।
এবারের জরিপে সব ফ্যাক্টরে এগিয়ে যায় ১০৭ হাজার জনসংখ্যার গ্রিন বে শহর। জরিপ বলছে, এখানকার লোকজনের খরচ ভালোমতোই পুষিয়ে যায়; জীবনযাত্রার মানও অন্য শহরের তুলনায় উন্নত। এই দুটি ফ্যাক্টরে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে গ্রিন বে।
সংস্থাটির রিয়েল এস্টেট এডিটর ডেভন থর্সবি বলেন, ‘আবহাওয়ার ক্যাটাগরিতে এই শহর ভালো করেনি। কারণ এখানকার শীতকাল বেশ রুক্ষ। তবে খুব সাশ্রয়ী শহর এটি, জীবনযাত্রার মানও অনেক ভালো।’
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গ্রিন বে-তে মাঝারি মানের বাড়ির দাম ২৪৭ হাজার ৯২ ডলার।
থর্সবি বলেন, ‘জীবন ধারণের খরচপাতি গ্রিন বে-তে বরাবরই বেশ কম। সম্ভবত রুক্ষ আবহাওয়ার কারণে মানুষের কাজ বিঘ্নিত হওয়ায় শহরটি সুপার ফার্স্ট গ্রোয়িং মেট্রো হয়ে ওঠেনি।’
তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে অ্যালাবামার হান্টসভিল ও নর্থ ক্যারোলাইনার রেলেই অ্যান্ড ডারহাম।
আগেরবারের চেয়ে এগিয়ে ৯৮ তম স্থান পেয়েছে নিউ ইয়র্ক।
থর্সবি নিউ ইয়র্কের বিষয়ে বলেন, ‘এটি এমন এক মেট্রো, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীরাও থাকেন, সবচেয়ে দরিদ্ররাও থাকেন। এই সংমিশ্রণটি আবাসন, পণ্য ও পরিষেবার মূল্যকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’
তালিকার সবচেয়ে শেষ অবস্থানে আছে পুয়ের্তো রিকোর অ্যামেরিকার এখতিয়ারভুক্ত স্যান জুয়ান শহর।