দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। অভিযোগ আছে, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে, মানুষের চেহারা এবং গায়ের বর্ণ দেখে আটক বা বিতাড়ণের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আইস। অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে নির্বিচারে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নারী, পুরুষ ও শিশুদের।
ফেডারেল কর্মকর্তাদের এরকম আচরণের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে কংগ্রেসে একটি চিঠি পাঠিয়েছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ভোটো ল্যাটিনো। যাতে স্বাক্ষর করেছে সত্তরটিরও বেশি নাগরিক অধিকার সংস্থা। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোমের বিরুদ্ধে অযোগ্যতা ও সংবিধানকে লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে তারা।
ভোটো ল্যাটিনোর প্রেসিডেন্ট মারিয়া টেরেসা কুমার বলেন, নোমের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে, মুখোশধারী আইস এজেন্টরা আটক অভিযান চালাচ্ছে। এতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কারণ সাদা পোশাকে থাকায় আইস কর্মকর্তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
সংবিধান বিরোধী আচরণের অভিযোগ এনে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি নোমের বিরুদ্ধে তদন্ত চালু করতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি দাবি জানান মারিয়া। এই অধিকারকর্মী শংকা জানিয়ে বলেন, আইস এজেন্টরা এখনই দেশের বৈধ নাগরিকদের আটক করা শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে অ্যামেরিকান সেনাদের অনুবাদকের দায়িত্ব পালন করা জিয়া নামক এক ব্যক্তিকে, এদেশে আটক করেছে আইস। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বলেন, এই ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
গত ২৩ জুন, ইরান থেকে এদেশে আশ্রয় নিতে আসা একটি পরিবার এবং তাদের তিন বছর বয়সী শিশুকে আটক করে আইস। খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী এই পরিবারের মুক্তির দাবিতে হোয়াইট হাউযের সামনে অনশন ধর্মঘট করছেন প্যাস্টর আরা টরোসিয়ান। তিনি রয়টার্সকে জানান, আশ্রয়প্রার্থীরা অবৈধ হতে পারে না।
আইসের হাত থেকে এই পরিবার মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান টরোসিয়ান।