রাশিয়া ও বেলারুশে ছয় দিনের সফরের প্রথম দিনে লি বলেন, ‘চায়নাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে তাইওয়ানকে ব্যবহারের অপচেষ্টা চলছে, তবে তা কখনই সফল হবে না।’
লি দাবি করেন, চায়নার সামরিক বাহিনী বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শি জিনপিং এ বিশৃঙ্খলার বিশ্বে নিরাপত্তা স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক নিরাপত্তা কৌশল এবং বিভিন্ন বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতায় পারস্পরিক আস্থা জোরদার করতে অন্যান্য রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
বেলারুশ, ইরান এবং মিয়ানমারসহ ২০টিরও বেশি দেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এ ফোরামে যোগ দেবেন। তবে সম্মেলনে কোনো পশ্চিমা দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এ বছরের শুরুতে প্রতিরক্ষা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি লি-র দ্বিতীয় রাশিয়া সফর।
সম্মেলনে তিনি ইরান, সৌদি আরব, কাজাখস্তান, ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং সামরিক নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
চায়নার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে চায়নার অংশ হিসেবে দাবি করে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে হলেও এর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এর আগে রাশিয়ান অস্ত্র কেনার জন্য ২০১৮ সালে লি-কে ইউএস নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
চায়নার সঙ্গে ১৯৭৯ সালে আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তাইওয়ানের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে অ্যামেরিকা। চায়না বরাবরই এই সম্পর্কের বিরোধী।