প্রাণঘাতী অস্ত্র নিষিদ্ধে শুনানি নাকচ করল অ্যামেরিকান সুপ্রিম কোর্ট

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩ ২০২৫, ১৩:৫২

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • 0

২০১৩ সালের রাজ্য আইনটি আপাতত বহাল থাকছে। সেই আইনে এআর-১৫ ও একে-৪৭-এর মতো অস্ত্র রাখা সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর অধিকারভুক্ত নয় বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের তিন রক্ষণশীল বিচারপতি শুনানির পক্ষে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা তা খারিজ করে দেন।

ম্যারিল্যান্ডে আধাস্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধে করা আইনবিরোধী এক মামলার শুনানি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে অ্যামেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি আদালত। ফলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজ্যটির ২০১৩ সালের একটি আইন সাময়িকভাবে বহাল থাকছে।

মামলাটি সোমবার খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তবে এ সিদ্ধান্তে একমত নন সুপ্রিম কোর্টের তিন রক্ষণশীল বিচারপতি—স্যামুয়েল এলিটো, ক্ল্যারেন্স থমাস ও নিল গরসেচ। তারা এই মামলার শুনানির পক্ষে ছিলেন।

আরেক রক্ষণশীল বিচারপতি ব্রেট ক্যাভানো আলাদাভাবে জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এবং ভবিষ্যতে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

২০১২ সালে কানেটিকাটের নিউটাউনের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হওয়ার পর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রাজ্যে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যারিল্যান্ডসহ আটটি রাজ্য এবং ডিসি-তে ২০১৩ সালে সেমি-অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে দ্বিতীয় সংশোধনীর অধিকার খর্ব হচ্ছে—এ অভিযোগ তুলে ২০২০ সালে কিছু বন্দুক ক্রেতা, লাইসেন্সধারী ডিলার এবং বেশ কয়েকটি সংগঠন ওই আইন চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায়। মামলাটি প্রথমে ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ও পরে ইউএস কোর্ট অব আপিলস ফর দ্য ফোর্থ সার্কিটে শুনানি হয়। দুই আদালতই রাজ্যের পক্ষে রায় দেয়।

সেই রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত শুনানিতে রাজি না হওয়ায় আপাতত ম্যারিল্যান্ডে এআর-১৫ ও একে-৪৭-এর মতো অস্ত্র নিষিদ্ধ রাখার বিধান বহাল থাকছে।

তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিচারপতি ক্যাভানোর মতামত ভবিষ্যতে এ সিদ্ধান্তে পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এবারের অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, ট্রান্সজেন্ডার অধিকার এবং প্রথম সংশোধনী সংক্রান্ত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রায় দেওয়ার কথা রয়েছে। এসব মামলার রায় ভবিষ্যতের মার্কিন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।