ত্রাণের লাইনে ইসরায়েলি গুলিতে ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১ ২০২৫, ১২:২৫

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ১ জুন একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় মানুষ নিহত হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা মৃতদেহ বহনকারী একটি ঠেলাগাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ১ জুন একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় মানুষ নিহত হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা মৃতদেহ বহনকারী একটি ঠেলাগাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। ছবি: এএফপি

  • 0

গাজা উপত্যকার একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলাবর্ষণে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়, যখন শত শত মানুষ দক্ষিণ গাজার একটি সহায়তা কেন্দ্রে খাদ্য ও জরুরি সামগ্রী নিতে জড়ো হয়েছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই গুলির শব্দ এবং ট্যাংক শেলের বিস্ফোরণে চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘নির্মম ও অমানবিক’ আখ্যা দিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র হামলাকারীরা। বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার খবর গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

ঘটনার পরপরই জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গোলাবর্ষণ মানবিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।’

ইসরায়েল-হামাস চলমান সংঘাতের মধ্যে গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। খাদ্য, ওষুধ ও পানির তীব্র ঘাটতির মধ্যে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বারবার যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।