অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

টিবিএন ডেস্ক

নভেম্বর ২৯ ২০২৪, ১৭:১৫

অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
  • 0

১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটিতে ক্ষোভ ও স্বস্তির মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে টিকটকের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা মনে করছে, এমন সিদ্ধান্ত শিশুদের ‘ইন্টারনেটের অন্ধকার কোণে’ ঠেলে দিতে পারে।

দীর্ঘ বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধের আইন পাশ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। এই বিলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মানতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট এবং এক্স এর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।

শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলোর সামাজিক দায়িত্ব বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।

অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের প্রভাবে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পরছে বলে এই মাসের শুরুর দিকে মন্তব্য করেন আলবানিজ। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে শরীরের গঠন নিয়ে ভুল ধারণা এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে নারীবিদ্বেষী বিষয়বস্তু বড় ঝুঁকি তৈরি করছে বলে জানান তিনি।

শুক্রবার সিডনিতে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাইবার বুলিং সহ নানা ক্ষতিকর দিক থেকে শিশুদের রক্ষায় এই আইন কার্যকর ফল দিতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেক নাগরিক।

সামাজিক মাধ্যমে শিশুরা সেলিব্রেটি ও অন্যান্যদের জাঁকজমক জীবন দেখে আকৃষ্ট হয়। যা তাদের আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয় বলে জানান এক বাসিন্দা।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সহজে দেখা হয় না এমন মানুষদের সঙ্গে দুরত্ব বাড়বে বলে ধারণা করছে অনেকে।

তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিপিএন বা অন্য কোন উপায় বের করে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করবে বলে জানাচ্ছে স্থানীয় শিশুরা।

প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করবে তার নীতিমালা নিয়ে কাজ করার জন্য এক বছর সময় পাবে। এরপরই কার্যকর করা হবে জরিমানা। এছাড়া এই নিষেধাজ্ঞা অনেক শিশুকে সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন অনেক বাবা-মা।

ধনকুবের ইলন মাস্কের এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘এটি অস্ট্রেলিয়ানদের ইন্টারনেটে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের একটি বিকল্প উপায় বলে মনে হচ্ছে।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন