ইউএস কর্মকর্তাদের সফর দৃঢ় সম্পর্কের ইঙ্গিত: হাছান মাহমুদ

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ৫ ২০২৩, ১৯:৩০

সংবাদ সম্মেলনেএবাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি:বাসস

সংবাদ সম্মেলনেএবাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি:বাসস

  • 0

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অ্যামেরিকান কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফর তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। আমরা তাদের স্বাগত জানাই।’

সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি অ্যামেরিকার কর্মকর্তারা প্রায়ই বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন। চলতি মাসেও অ্যামেরিকার ফরেইন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যামেরিকার অনেক কর্মকর্তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন এবং সহসাই আরও বেশ কয়েকজন আসবেন।’

তিনি বলেন, ‘অ্যামেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্বাঙ্গণেও বহুমাত্রিক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও অ্যামেরিকা বিরাট ভূমিকা রাখছে।’

বিএনপির মহাসচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের কাছে ‘কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়’ এমন যে বক্তব্যে দিয়েছেন তার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়।

‘জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এবং বৃটেইনে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। ওই দেশগুলোতে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে।’

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদ বলেন, ‘নালিশ তারা করতেই পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।’

ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নেই। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করেছে, সেটি আমরা সামাল দিয়েছি। সে সক্ষমতা বিএনপির এখন নেই এবং ভূ-রাজনীতির কারণে আর এ ধরনের আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। আমরা জানি কখন কী করতে হবে।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিল। এমনকি তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ও জনগণকেও নির্বাচন বর্জন করার জন্য এবং ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলো। তাদের এতো প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপির অংশগ্রহণকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি নাও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন