সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ওগান। তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় ও শেষ ধাপের ভোট ২৮ মে।
ওনান জানান, এরদোয়াঁনের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবিরাম যুদ্ধের’ ঘোষনার কারণেই তাকে সমর্থন দিচ্ছেন ওনান । তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের বিশ্বাস এ সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির জন্য সঠিক’।
ওনানের এ সিদ্ধান্ত এরদোয়াঁনের পরবর্তী মেয়াদে ক্ষমতায় বসা প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছে। ১৪ মে প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ান ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পান।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি কেমাল কিলিচদারোলু পান ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট আর সিনান ওগান পান ৫.১৭ শতাংশ ভোট। তুর্কিয়ের ক্ষমতায় বসতে ৫০ শতাংশ ভোটের প্রয়োজন হয়।
যে কারণে ওনানের ৫ শতাংশ ভোটই দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।
তুর্কিয়ের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নেইটোর বন্ধুরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক শক্তির শীর্ষ দেশগুলোর ভাগ্য অনেকাংশেই নির্ভর করবে। ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনে বিশ্বের অনেক দেশই অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
এই নির্বাচনের মেক-অর-ব্রেক ভোটের ফলাফল আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ করে মস্কো এবং ইউরোপ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তুর্কিয়ে নেইটো জোটের অন্যতম সদস্য। নেইটো জোটের মধ্যে সামরিক শক্তির অবস্থানে তুর্কিয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যামেরিকাকে অস্বীকার করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এরদোয়ানের সরকার।