রাজধানী বেলগ্রেড থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে ডুবোনা গ্রামে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আট জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার সকালে বেলগ্রেডের একটি স্কুলে গুলিতে নিহত হয় আট শিশু শিক্ষার্থী ও এক নিরাপত্তারক্ষী। হামলাকারী সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই স্কুলের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে। পরে তার বাবা-মাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সবশেষ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর ডুবোনা গ্রামে চলন্ত গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে আট জনকে হত্যা করেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, ডুবোনার একটি পার্কে এদিন সন্ধ্যায় কোনো এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে ওই ব্যক্তির তর্কাতর্কি হয়। এর জেরে রাতে ওই এলাকার রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সেমি অটোমেটেড রাইফেল দিয়ে এলোপাতারি গুলি করতে থাকেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি।
ঘটনাস্থলে আট জনের মৃত্যু হয়। আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়।
রাতেই বন্দুকধারীকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে ৬০০ পুলিশ, ডুবোনা ও আশপাশের এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয় চেকপোস্ট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে ক্রাগুযেভ্যাক শহরের একটি বাড়ি থেকে ‘ইউবি’ নামের সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বাড়িটি তার গ্র্যান্ডফাদারের বলে জানা গেছে।
বিবিসি বলছে, সার্বিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার ঘটনা বিরল। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র আইন বেশ কড়া।
এ কারণে এক সপ্তাহে পরপর দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতায় আট শিশুসহ ১৭ প্রাণহানির ঘটনায় হতবাক ও আতঙ্কিত সার্বিয়ানরা। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও।
দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যালেকস্যান্ডার ভুকিচ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নতুন কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলন করে শুক্রবার তিনি জানান, এ ধরণের শ্যুটিং গোটা জাতির ওপর হামলা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে তিনি ১২শ নতুন পুলিশ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মধ্যে আছে নতুন করে কোনো আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদনে নিষেধাজ্ঞা, অবৈধ অস্ত্রের বাহকের জন্য আরও কঠোর সাজা ও আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, মূলত সার্বিয়ার জনগণকে নিরস্ত্রীকরণে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।