বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাস্থ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘থেরানোস’-এর প্রতিষ্ঠাতা হোমস টেক্সাসের ব্রায়ানে ফেডারেল কারাগার ‘ক্লাব ফেড’-এ বন্দি থাকবেন।
রক্ত পরীক্ষার বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবনের দাবি করে হাই প্রোফাইল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার দায়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দোষী সাব্যস্ত হন ৩৯ বছর বয়সী হোমস। তাকে গত নভেম্বরে ১১ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিনিয়োগকারীদের ৪৫২ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিতে তাকে ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার সানি বালওয়ানিকে নির্দেশ দেন বিচারক।
এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রুপার্ট মারডক, সাবেক সেক্রেটারি অফ স্টেইট হেনরি কিসিঞ্জার ও সাবেক সেক্রেটারি অফ এডুকেশন বেটসি ডেভস।
হোমসের মামলার বিচারক ছিলেন এডওয়ার্ড ড্যাভিলা। সাজাভোগের আগে দুই শিশু সন্তানের দেখভালের জন্য চাইল্ড কেয়ারের ব্যবস্থা ও অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে ড্যাভিলার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন হোমস। সেই আবেদন অনুমোদিত হয়। তাকে গত ২৭ এপ্রিল কারাগারে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
এর মধ্যে হোমস আবারও আপিল আদালতে সাজা পেছানোর জন্য আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাইন্থ সার্কিট কোর্ট অফ অ্যাপিলস গত ১৭ মে সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর ৩০ মে তাকে কারাগারে রিপোর্ট করতে বলা হয়।
কারাগারে যাওয়ার আগে শেষ দিনগুলো হোমস কাটাচ্ছিলেন সান ডিয়েগোর বাড়িতে, স্বামী ও দুই শিশুসন্তানের সঙ্গে।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে ২০০৩ সালে থেরানোস চালু করেন হোমস। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে যে তারা রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশেষ একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর মাধ্যমে রোগীর আঙুল থেকে নেয়া এক ফোঁটা রক্তেই তার বিভিন্ন মেডিক্যাল টেস্ট হয়ে যাবে। এর জন্য অতিরিক্ত পরিমাণের রক্ত নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
এ প্রযুক্তির কথা বলে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ২০১৪ সাল নাগাদ ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় থেরানোস। আর হোমস হয়ে যান দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার।
প্রতারণার দায়ে হোমসের ব্যবসায়িক অংশীদার সানি বালওয়ানি এখন ১৩ বছরের সাজা কাটাচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান পেড্রোর কারাগারে।