বিবিসি জানায়, আদালত ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্লোরিডায় নিজ বাড়িতে ফেরার পর তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে পারেন।
এর আগে ফৌজদারি মামলার শুনানিতে আদালতে পৌঁছানোর পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুনানির সময় আদালত কক্ষে অল্প কয়েক জন স্টিল ফটোগ্রাফারকে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়। তবে কোনো ভিডিও ক্যামেরা ঢুকতে দেয়া হয়নি। আদালত কক্ষে প্রবেশের পরেও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি ট্রাম্প।
সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে এর সবগুলোই অস্বীকার করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। শুনানির বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
অ্যামেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট এমন নজিরবিহীন ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেন।
আদালতে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। গ্রেফতারের অংশ হিসেবে তার আঙুলের ছাপ নেয়া হয়েছে। তবে মাগশট নেয়া হয়েছে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়।
এর আগে ট্রাম্প টাওয়ার থেকে একটি এসইউভিতে চড়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন ট্রাম্প। তার সঙ্গে আরও কয়েকটি গাড়িতে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। মোট ১০টি গাড়ি সেখান থেকে ছেড়ে যায়।
আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া ট্রাম্প মোটেও বিচলিত ছিলেন না বলে জানিয়েছে একটি সুত্র।
বিবিসিকে একটি রিপাবলিকান সূত্র বলেছে, ‘অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকানদের জন্য লড়াই করতে ট্রাম্প সংকল্পবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’।