
ভারতসহ যেসব দেশের বন্দিরা আছেন গুয়ানতানামোতে

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৮ ২০২৫, ২৩:০৪

কিউবার গুয়ানতানামো বের অ্যামেরিকান নৌ ঘাঁটিতে আটক অভিবাসীদের জন্য নির্মিত তাঁবু। ছবি: রয়টার্স
- 0
এসব বন্দির মধ্যে মারাত্মক অপরাধে দোষী সাব্যস্তরাও রয়েছেন। এ নিয়ে গত সপ্তাহে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিবিএস নিউজ।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কিউবার গুয়ানতানামো বে নৌ ঘাঁটিতে ২৬টি দেশ ও ছয় মহাদেশের অনেক বন্দিকে আটক রাখছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-ডিএইচএস।
এসব বন্দির মধ্যে মারাত্মক অপরাধে দোষী সাব্যস্তরাও রয়েছেন। এ নিয়ে গত সপ্তাহে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিবিএস নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুয়ানতানামো বে ঘাঁটিকে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে রূপ দিতে কাজ শুরু করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা এরই মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া, ক্যারিবীয় ও ইউরোপের বন্দিদের নৌ ঘাঁটিতে স্থানান্তর করেছেন। এর আগে ঘাঁটিটি ব্যবহার করা হয় মূলত বিতাড়নের অপেক্ষায় থাকা স্প্যানিশ ভাষাভাষী লাতিন অ্যামেরিকান বন্দিদের আটক রাখতে।
ডিএইচএস কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সিবিএস নিউজের সাম্প্রতিক খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তারা গুয়ানতানামোতে থাকা বন্দিদের জাতীয়তার পূর্ণ তথ্য জানান। এ ছাড়া দুই ডজনের বেশি বন্দির নাম ও অপরাধের ইতিহাসও জানান।
কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, গুয়ানতানামোতে অ্যামেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আটক বন্দিদের থেকে নতুন করে আটকদের আলাদা রাখা হচ্ছে।
তালিকায় যা পাওয়া গেল
ডিএইচএসের তালিকা অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিকা বাদে বাকি সব মহাদেশের বন্দিদের গোয়ানতানামো বেতে রাখা হচ্ছে। এসব বন্দি ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, ডমিনিকান রিপাবলিক, এল স্যালভাদর, ইথিওপিয়া, গুয়াতেমালা, হাইতি, হন্ডুরাস, ভারত, জ্যামাইকা, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মার্শাল আইল্যান্ডস, মাইক্রোনেশিয়া, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, পেরু, রোমানিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, সেন্ট কিটস-নেভিস, যুক্তরাজ্য, ভেনেজুয়েলা ও ভিয়েতনামের অভিবাসী।
যেসব অপরাধ
ডিএইচএস কর্মকর্তারা যেসব বন্দির নাম জানিয়েছেন, তাদের নানা অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে আছে নরহত্যা, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা, শিশু পর্নোগ্রাফিসহ যৌন অপরাধ, সশস্ত্র হামলা, অপহরণ, মাদক পাচার ও ডাকাতি।
ডিএইচএস কর্মকর্তারা জানান, এসব বন্দির প্রত্যেকের বিষয়ে বিতাড়নের চূড়ান্ত আদেশ আছে।
কোন বন্দিরা কোথায়
যেসব বন্দির অপরাধের রেকর্ড রয়েছে, তাদের ‘উচ্চঝুঁকির’ বন্দি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুয়ানতানামো কারা কমপ্লেক্সের ক্যাম্প চারে রাখা হয়েছে তাদের। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন প্রায় এক ডজন বন্দিকে কারাগারটির অন্য একটি অংশে রাখা হয়েছে।
যাদের মারাত্মক অপরাধ নেই কিংবা যারা নিম্ন ঝুঁকির বন্দি হিসেবে বিবেচিত, তাদের মাইগ্রেন্ট অপারেশন্স সেন্টার নামের ব্যারাকের মতো স্থাপনায় রাখা হয়েছে।
এ সপ্তাহ নাগাদ গুয়ানতানামো বেতে ৭২ জন অভিবাসী বন্দিকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৮ জনকে উচ্চঝুঁকি এবং ১৪ জনকে নিম্ন ঝুঁকি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে বলে সিবিএসকে জানান অ্যামেরিকার দুই কর্মকর্তা।