বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অ্যামেরিকান বোয়িং কোম্পানি থেকে মুখ ফিরিয়ে ফ্রেঞ্চ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমাদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ১০ টি এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
‘প্রতিটি দেশের বিমান বহরেই এয়ারবাস ও বোয়িং উভয় কোম্পানির উড়োজাহাজ রয়েছে। কিন্তু আমাদের বহরে এয়ারবাস ছিল না।’
বাংলাদেশ বিমানের ৫১ বছরের যাত্রায় ২০টিরও বেশি বোয়িং বিমান রয়েছে। এসবের অর্ধেকের বেশি বিমান সুপরিসর ও বাকিগুলো ড্যাশ-এইট টার্বোপ্রপ।
করোনা মহামারির পরে ভ্রমণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তখন থেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সুপরিসর আরও এয়ারক্রাফট কেনার পরিকল্পনা করছে।
ফ্রেঞ্চ বিমান নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাস থেকে ১০টি এ থ্রি ফাইভ জিরো উড়োজাহাজ কেনার অর্ডারের মাধ্যমে ফ্রান্সের সঙ্গে প্রথম বিমান কেনার চুক্তি করছে বাংলাদেশ।
তবে সোমবার শুরু হওয়া প্যারিস এয়ার শোয়ের জন্য সময়মতো চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে কিনা তা নিশ্চিত ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামেরিকার বোয়িংয়ের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতেই এয়ারবাসের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।
এদিকে প্যারিস এয়ার শোতে ভারতীয় ক্যারিয়ার ইন্ডিগো এয়ারবাস থেকে ৫০০টি এ থ্রি ফাইভ জিরো বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে। কমার্শিয়াল বিমান কোম্পানির ইতিহাসে যেকোনো এয়ারলাইন্সের পক্ষে এককভাবে এটিই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিমান কেনার চুক্তি।
প্যারিস এয়ার শোর প্রথম দিন সোমবারে ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে ইন্ডিগো।
ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে বিমান চলাচল ও মহাকাশ গবেষণায় চায়নাকে পেছনে ফেলতেই ব্যপক হারে বিমান কেনার দিকে ঝুঁকছে ভারত।