ক্যাপিটল হিলে পাইপ বোমা: প্রায় ৫ বছর পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ২০:৪৬ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৫ ২০২৫, ২:১৯

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ক্যাপিটল হিল। ছবি: রয়টার্স

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ক্যাপিটল হিল। ছবি: রয়টার্স

  • 0

সূত্রের বরাত দিয়ে আইউইটনেস নিউজ জানায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলার আগের রাতে দুটি পাইপ বোমা পুঁতে রেখে যান সন্দেহভাজন। বোমা দুটি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদরদপ্তরের সামনে স্থাপন করা হয়েছিল।

অ্যামেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন জয়ী হওয়ার পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস তথা ক্যাপিটল হিলে জড়ো হয়ে হামলা করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকরা।

এর আগের দিন রাতে ক্যাপিটল হিলে দুটি শক্তিশালী পাইপ বোমা পুঁতে রেখে যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় ৫ বছর পর গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন হলেন ব্রায়ান কোল। ৩০ বছর বয়সী এ ব্যক্তি ভার্জিনিয়ার উডব্রিজ এলাকার বাসিন্দা।

সূত্রের বরাত দিয়ে আইউইটনেস নিউজ জানায়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলার আগের রাতে দুটি পাইপ বোমা পুঁতে রেখে যান সন্দেহভাজন। বোমা দুটি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদরদপ্তরের সামনে স্থাপন করা হয়েছিল।

পরে ৬ জানুয়ারি বিকেলে সেগুলো খুঁজে পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিস্ফোরক ডিভাইস দুটি স্থাপন করার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থলের চারপাশের সারভেইল্যান্স ক্যামেরা-সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ধূসর রঙের হুডিযুক্ত সুইটশার্ট, মুখে মাস্ক ও পায়ে হলুদ লোগোসহ নাইকির জুতা পরা এক ব্যক্তি বোমাগুলা পুঁতে গেছেন।

দীর্ঘ পাঁচ বছরেও সন্দেহভাজনের কোনো হদিস পাচ্ছিলেন না ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই কর্মকর্তারা।

ওই সময় এফবিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, অপরাধীকে শনাক্ত করতে এক হাজার সাক্ষাৎকার, তিন হাজার ভিডিও নথি ও জনসাধারণের কাছ থেকে ৬০০টি তথ্য নেওয়া হয়, কিন্তু সন্দেহভাজনের জেন্ডার পর্যন্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। এমনকি সহায়ক তথ্য পেতে পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কারও ঘোষণা করেন কর্মকর্তারা।

অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজে থাকা ব্যক্তির হাঁটাচলার সঙ্গে ব্রায়ানের হাঁটার ধরনের মিল খুঁজে পান তদন্ত কর্মকর্তারা, যা তাকে গ্রেপ্তারে বড় ভূমিকা পালন করে।

ব্রায়ানের বিরুদ্ধে হত্যাযোগ্য শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস স্থাপনের অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

অভিযোগ দায়েরের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।