আইনি অনুমোদন ছাড়া অ্যামেরিকায় আসা লাখ লাখ অভিবাসীকে বন্ড শুনানির জন্য অযোগ্য করতে চাইছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
এর ফলে বিতাড়ন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে আইনি লড়াইয়ে থাকা অভিবাসীদের আটক কেন্দ্রগুলোতে বন্দি থাকতে হবে। আদালতে এ প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক মাস বা ক্ষেত্রবিশেষে কয়েক বছরও লাগতে পারে।
কোনো বিবাদীকে গ্রেপ্তারের পর বন্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্ষেত্রে একজন বিচারক ঠিক করেন, আসামি সমাজের জন্য বিপজ্জনক কি না কিংবা তিনি শুনানির পরবর্তী তারিখে আদালতে হাজির হবেন কি না।
অভিযোগ যত গুরুতর হয়, সাধারণত বন্ড বা মুচলেকা তত বেশি হয়। মুচলেকার এ পরিমাণ নির্ধারণের পর আসামি তার ১০ শতাংশ পরিশোধ করে হেফাজত থেকে ছাড়া পেতে পারেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতিমালার বিষয়ে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের এক মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে মঙ্গলবার ইমেইলে তার বক্তব্য জানান।
তিনি জানান, সম্প্রতি জারি করা নীতিমালা অভিবাসন আইনের পলায়নের একটি পথ বন্ধ করে দিয়েছে। অ্যামেরিকা-সীমান্তে সম্প্রতি আসা লোকজনকে আটকের ক্ষেত্রে এ ছিদ্র দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয়েছে।
আইসের মুখপাত্র লিখেন, অ্যামেরিকায় বেআইনিভাবে বা অবৈধ উদ্দেশ্যে ঢুকতে চাওয়া সব অভিবাসীকে আইনের অধীনে সমানভাবে বিবেচনা করা হবে। একই সঙ্গে যথাযথ প্রক্রিয়াও পাবে তারা। এ নীতিমালা দেশের দীর্ঘদিনের অভিবাসন আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
আইসের নতুন সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তার বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। বার্তায় অভিবাসন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়, বিতাড়ন প্রক্রিয়ার সময় তারা যেন অভিবাসীদের আটক রাখেন।
নতুন এ নীতিমালা অভিবাসীদের আটক রাখার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় কারারুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করেন ভ্যানেসা দোজাকুয়েজ-তোরেস। তিনি অ্যামেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নীতিবিষয়ক পরামর্শক।
ভ্যানেসার ভাষ্য, অধিকসংখ্যক মানুষকে আটক ও বিতাড়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন বাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
নতুন নির্দেশনা অভিবাসীদের আটকের ক্ষেত্রে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার পরিধি বাড়িয়েছে। এ নির্দেশনার ফলে অ্যামেরিকায় কয়েক দশক ধরে থাকা ব্যক্তি, অ্যামেরিকান নাগরিক সন্তানের অভিভাবক কিংবা অ্যামেরিকায় থাকার আইনি সুযোগ থাকা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের সুযোগ পাবে কর্তৃপক্ষ।