প্রায় দুই বছর আগে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে নারীদের স্বাধীনতা ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে জিমন্যাসিয়াম, পার্ক এমনকি সম্প্রতি নারীদের জাতিসংঘে কাজ করাও নিষিদ্ধ করে তালেবান সরকার।
বিউটি পার্লার বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান নারী বলেন, ‘তালেবানরা আফগান নারীদের কাছ থেকে মৌলিক অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা এখন এক নারীর কাছ থেকে অন্য নারীর সেবা নেয়া বন্ধ করছে। খবরটি শুনে আমি হতবাক হয়েছি। তারা জনজীবনের প্রতিটি স্তর থেকে নারীদের নির্মূল করার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে, তালেবানদের নারীদের উপর মনোযোগ দেয়া ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা নেই।’
তালেবানের নির্দেশ অনুযায়ী, নারীদের এমন পোশাক পরতে হবে যাতে শুধু চোখ দেখা যাবে; শরীরের অন্য কোনো অংশ নয়। ভ্রমণে ৪৮ মাইলের বেশি পথ হলে সঙ্গে অবশ্যই একজন পুরুষ আত্মীয় থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিকভাবে বহু প্রতিবাদের পরেও নিষেধাজ্ঞাগুলো অব্যাহত রেখেছে তালেবান সরকার।
দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে ইউএস বাহিনী প্রত্যাহারের পরও বিউটি সেলুনগুলো খোলা ছিল। তবে দোকানের জানালাগুলো ঢেকে রাখা হতো। সেলুনের বাইরের নারীদের ছবিতে মুখ স্প্রে পেইন্ট করে ঢেকে দেয়া হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক আফগান নারী বলেন, ‘এটি আফগান নারীদের জন্য আর একটি মর্মান্তিক খবর… আমি বাইরে গিয়ে দেখলাম এলাকার সব সেলুন বন্ধ।’
তালেবান সরকার তাদের নতুন এ নিষেধাজ্ঞার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। সেইসঙ্গে সেলুনগুলো বন্ধ হয়ে গেলে নারীদের কী হবে কিংবা এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা আছে কি-না সে বিষয়েও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।