হাঙ্গেরিতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন করবেন যেভাবে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪ ২০২৫, ২৩:৩১

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অবস্থিত দেশটির পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অবস্থিত দেশটির পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স

  • 0

হাঙ্গেরির পারমানেন্ট রেসিডেন্সির জন্য ২০২৫ সালে প্রক্রিয়াগত ফি ১০৫ ইউরো। কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের খরচ পড়তে পারে ১৬০ ইউরো।

সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য দর্শনার্থীদের জনপ্রিয় গন্তব্য হাঙ্গেরি। বিদেশে নতুন জীবন গড়তে চাওয়া লোকজনের জন্য ভালো বাছাই হতে পারে রাষ্ট্রটি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-ইইউর বাইরের দেশের নাগরিকদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে মধ্য ইউরোপের এ দেশ।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ন্যাশনাল রেসিডেন্স কার্ড কিংবা ইইউ রেসিডেন্স কার্ড দিয়ে হাঙ্গেরিতে থাকা, কাজ করা কিংবা পড়াশোনা করা যাবে। এ দুটি কার্ড একই ধরনের হলেও শর্তে কিছুটা তারতম্য আছে।

ন্যাশনাল রেসিডেন্স কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

১. কমপক্ষে তিন বছর হাঙ্গেরিতে থাকতে হবে অথবা হাঙ্গেরির নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা কোনো পরিবারের ডিপেনডেন্ট অ্যানসেস্টর হিসেবে কমপক্ষে ১ বছর থাকতে হবে। এর বাইরে হাঙ্গেরির নাগরিক কিংবা দীর্ঘদিনের বাসিন্দা/শরণার্থীর স্বামী/স্ত্রী হতে হবে। বিয়েটা হতে হবে আবেদনের কমপক্ষে দুই বছর আগে।

২. হাঙ্গেরিতে স্থিতিশীল বাসস্থান

৩. ব্যয় নির্বাহের জন্য যথেষ্ট আর্থিক অবলম্বন

৪. সমন্বিত হেলথ ইন্স্যুরেন্স, যার আওতায় থাকবে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা

৫. অপরাধের কোনো রেকর্ড থাকা যাবে না

৬. বসবাসের অনুমোদনের যোগ্যতা

৭. আবেদনকারীর বসবাস হাঙ্গেরির স্বার্থের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ থাকার নথিপত্র (যেমন: রিকমেন্ডেশন লেটার)।

৮. হাঙ্গেরির সংস্কৃতির ওপর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরীক্ষায় অবশ্যই পাস করতে হবে। সর্বোচ্চ তিনবার এ পরীক্ষায় বসা যাবে।

৯. বসবাসের অনুমোদনের মেয়াদ ১০ বছর। টানা ছয় মাসের বেশি হাঙ্গেরির বাইরে থাকলে অনুমোদন বাতিল করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

ইইউ রেসিডেন্স কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

১. অন্য কোনো দেশের নাগরিক, যিনি বৈধভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে কমপক্ষে পাঁচ বছর হাঙ্গেরিতে থেকেছেন।

২. ইইউর ব্লু কার্ড নিয়ে ইইউভুক্ত কোনো দেশে পাঁচ বছর থাকলে এবং হাঙ্গেরিতে দুই বছর থাকার পর ইইউ রেসিডেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে।

২. হাঙ্গেরিতে স্থিতিশীল বাসস্থান

৩. ব্যয় নির্বাহের জন্য যথেষ্ট আর্থিক অবলম্বন

৪. সমন্বিত হেলথ ইন্স্যুরেন্স অথবা স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ থাকা

৫. হাঙ্গেরির সাংস্কৃতিক জ্ঞান সংক্রান্ত পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

৬. এ কার্ডের মেয়াদ ১০ বছর। কোনো বাসিন্দা ছয় বছরের বেশি সময় হাঙ্গেরিতে না থাকলে কিংবা এক বছরের বেশি সময় (ইইউ ব্লু কার্ডের ভিত্তিতে হলে দুই বছর) ইইউতে না থাকলে এ কার্ড বাতিল করতে পারে কর্তৃপক্ষ।

৭. ন্যাশনাল রেসিডেন্স কার্ডের মতো এ কার্ডের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংযোগ কিংবা হাঙ্গেরির ‍সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয় না।

কীভাবে আবেদন করবেন

প্রথম ধাপ: পিআর বা পারমানেন্ট রেসিডেন্সের কোন ধরনটার জন্য আপনি যোগ্য, তা ঠিক করুন।

দ্বিতীয় ধাপ: কিছু নথি জোগাড় করুন। এর মধ্যে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট, হাঙ্গেরিতে বৈধ, নিরবচ্ছিন্ন বসবাসের প্রমাণ, স্থিতিশীল বাসস্থানের প্রমাণ, আয় বা সঞ্চয়ের প্রমাণ, সমন্বিত হেলথ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল রেসিডেন্স কার্ডের জন্য ভালো আচরণের সনদ, হাঙ্গেরির সাংস্কৃতিক জ্ঞান সংক্রান্ত পরীক্ষায় পাসের সনদ, জন্ম/বিয়ের সনদ, সিভি, ভাড়ার চুক্তি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিকমেন্ডেশন লেটার।

তৃতীয় ধাপ: আঞ্চলিক ইমিগ্রেশন অফিসে সরাসরি কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা।

চতুর্থ ধাপ: বায়োমেট্রিক ডেটা প্রদান (ফিঙ্গারপ্রিন্ট)

পঞ্চম ধাপ: প্রক্রিয়াগত ফি প্রদান

ষষ্ঠ ধাপ: সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা এবং কার্ড আসার পর তা গ্রহণ।

আবেদন ফি

হাঙ্গেরির পারমানেন্ট রেসিডেন্সির জন্য ২০২৫ সালে প্রক্রিয়াগত ফি ১০৫ ইউরো। কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের খরচ পড়তে পারে ১৬০ ইউরো।