'ন্যায্য' পারিশ্রমিকের দাবিতে হলিউড লেখকদের কর্মবিরতি
টিবিএন ডেস্ক
মে ২ ২০২৩, ২৩:২১
- 0
গ্লোবাল স্ট্রিমিংয়ের যুগে হলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ন্যায্য পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ তুলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের ১১ হাজারের বেশি স্ক্রিপ্টরাইটার।
পারিশ্রমিকের বিষয়ে লেখকদের সংগঠন রাইটার্স গিল্ড অফ অ্যামেরিকার (ডব্লিউজিএ) সঙ্গে অনেকদিন ধরে আলোচনা চলছিল হলিউডের বাঘা বাঘা স্টুডিওগুলোর। সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় সোমবার রাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন লেখকরা। তারা মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশও করবেন।
হলিউড স্টুডিওগুলোর সংগঠন অ্যালায়েন্স অফ মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারসের (এএমপিটিপি) সদস্যদের মধ্যে আছে ডিসকভারি-ওয়ার্নার, এনবিসি ইউনিভার্সাল, প্যারামাউন্ট, সনি, নেটফ্লিক্স, অ্যামাযন, অ্যাপল ও ডিযনির মতো স্টুডিও।
স্ক্রিপ্টরাইটাররা ‘অস্তিত্ব সংকটে’ ভুগছেন জানিয়ে এএমপিটিপির সঙ্গে মার্চের শুরু থেকে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল ডব্লিউজিএ। তাদের দাবি ছিল, স্ট্রিমিংয়ের যুগে লেখকদের পারিশ্রমিক বাড়ানো ও লাভের অংশ দেয়া।
ডব্লিউজিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্টুডিওগুলো স্ট্রিমিংয়ের যুগে লেখকের ভাতা কমিয়ে দিয়েছে। প্রোডাকশন থেকে লেখকদের আলাদা করে ধরা হচ্ছে। সিরিয শো-এর লেখকরা এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সংগঠনটি জানিয়েছে, যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ লেখককে এখন সর্বনিম্ন মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে। অথচ বিনোদনজগতের শীর্ষ নির্বাহীদের বেতন সম্প্রতি হু হু করে বেড়েছে।
ডব্লিউজিএ-এর সদস্য ড্যানিয়েল সানচেয-উইটযেল গত এপ্রিলে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এটা কোনো সাধারণ আলোচনা নয়। আমরা লেখকদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও আমাদের পেশার স্থিতিশীলতার জন্য লড়াই করছি।’
নিজ ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে ডব্লিউজিএ জানায়, কোম্পানিগুলোর আচরণ ইউনিয়নের মধ্যে “গিগ ইকোনমি” তৈরি করেছে। এই আলোচনায় তাদের অবস্থান লেখালেখির পেশাকে অবমূল্যায়ন করেছে।
‘আমরা ন্যায্য চুক্তিতে পৌঁছাতে আলোচনা চালিয়েছিলাম। লেখকদের অস্তিত্ব সংকটকে মাথায় রেখে আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাতে স্টুডিওগুলো যথাযত সাড়া দেয়নি।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এপিসোডভিত্তিক টিভি শো এর ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ভাতার নিশ্চয়তা নাকচ করে দিয়েছে এএমপিটিপি। তারা স্ক্রিপ্টরাইটিংকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছে, লেখকদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিতে বলছে। এ ধরনের চুক্তি মেনে নেয়নি ডব্লিউজিএ।
এএমপিটিপি অবশ্য বলছে, ডব্লিউজিএ-এর দাবি অনুযায়ী লেখকদের মূল বেতন তারা বাড়িয়ে দিতে রাজি হয়েছে। তবে গিল্ড আরও কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়নে চাপ দিচ্ছে। সব কিছু নিয়ে একযোগে আগানো যাচ্ছে না।
এই কর্মবিরতি চলচ্চিত্র এবং টিভি প্রযোজনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে আন্দোলন কত সময় ধরে চলবে তার উপর।
গভীর রাতের শোগুলো, বিশেষ করে ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ -এ এই আন্দোলনে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। ডেডলাইন হলিউডের এক রিপোর্টের বরাতে সিবিএস নিউয জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ‘লেট শো উইথ স্টিফেন কলবার্ট’ ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ এবং ‘দ্য টুনাইট শো স্টারিং জিমি ফ্যালন’ শো বন্ধ থাকবে।