তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার এক অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বুধবার দুপুরে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিটের উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো ও ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা অংশ নিয়েছেন।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের গণমাধ্যম এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, সংবাদমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে, তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বাড়ায়।
তিনি বলেন, 'সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে, যেন এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সরকার ও সংবাদমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।