বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সৌদি আতিথেয়তার মুগ্ধ
টিবিএন ডেস্ক
জুলাই ২ ২০২৩, ১৯:৪১
- 0
পবিত্র হজব্রত পালন শেষে বাংলাদেশের হজযাত্রীরা সৌদি ব্যবস্থাপনা ও আতিথেয়তায় সন্তোষ জানিয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হজ। প্রতিবছরের মতো এবারও হজ পালনের জন্য পুথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় জমায়েত হন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এ বছর সব মিলিয়ে ২ মিলিয়ন মুসল্লি হজে অংশ নেন।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশের ১২২ হাজার ৮৮৪ হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালন করেছেন। সৌদিতে অবস্থান শেষে তারা দেশটির আতিথেয়তা ও সেবার প্রশংসা করেছেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাহাদাত হোসেন তাসলিম বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ পবিত্র নগরীতে জড়ো হওয়া ২ মিলিয়ন মানুষের চাপ যেভাবে সামাল দিছে তা প্রশংসনীয় এবং এর চেয়ে ভালো সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। হজের সময় সেবা দেয়া সৌদি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের খুব আন্তরিক মনে হয়েছে। মনে হচ্ছিল তারা আল্লাহর মেহমানদের সেবা দিচ্ছেন।’
হজের সময়ে কয়েক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত করা হয়। পাশাপাশি মুসল্লিদের পানি সরবরাহ ও পথ দেখানোয় সাহায্য করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশিতে পৌঁছানোয় এ ধরনের সেবা না পেলে হাজীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার শংকা ছিল।
তসলিম বলেন, ‘শত শত জায়গায় আমি সৌদি স্বেচ্ছাসেবকদের পানি নিয়ে যেতে দেখেছি। আমাদের হজযাত্রীদের চিকিৎসা দিতে দেখেছি। এ সুবিধা না থাকলে অনেকেই হজ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারতেন না।’
হজযাত্রীরা হারিয়ে গেলে স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের হোটেল বা থাকার জায়গা খুঁজে দিতে সাহায্য করেছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের সবাই হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছে।
চট্টগ্রামের ৬৩ বছর বয়সী হজযাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার হজযাত্রায় কখনও সেবা পাইনি বলে মনে হয়নি। আরাফাতের ময়দানে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানিশূন্যতার কারণে অত্যন্ত অসুস্থবোধ করছিলাম। দুই বা তিন মিনিটের মধ্যে একজন সৌদি স্বেচ্ছাসেবক পানির বোতল নিয়ে আসেন। যতক্ষণ না আমি সুস্থ বোধ করেছি ততক্ষণ তিনি আমার সঙ্গেই ছিলেন। আমি হৃদয়ের গভীর থেকে তার জন্য দোয়া করেছি।’
হজযাত্রীরা বিদায়ী তাওয়াফ শেষে পবিত্র নগরী মক্কা ত্যাগ করা শুরু করেছেন। তাওয়াফে সাত বার কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করতে হয়। কাবা শরিফকে মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান এবং আল্লাহর ঘর বলা হয়।