জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মিয়ানমারে আফিম, হেরোইন ও মেথামফিটামিনের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করেছেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাদকের বাজার সম্প্রসারণে উদ্বেগও প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এর পরপরই মাদক পোড়ায় মিয়ানমার।
মিয়ানমারের মাদক উৎপাদনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দেশটিতে দশকের পর দশক সশস্ত্র রাজনৈতিক সংঘাত এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটি মেথামফিটামিনের প্রধান উৎপাদক ও আফিম ও হিরোইন উৎপাদনে আফগানিস্তানের পর দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। গরীব কৃষকদের মধ্যে বৈধ কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য বারবার ব্যবস্থা নেয়া হলেও এ ব্যপারে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে ২০৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জব্দ করা মাদক এবং মাদক তৈরির কাঁচামাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ধ্বংস করা মাদকের মধ্যে রয়েছে আফিম, হেরোইন, মেথামফিটামিন, গাঁজা, ক্র্যাটোম, কেটামিন ও ক্রিস্টাল মেথ বা আইস।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবসের সঙ্গে মিল রেখে মাদক পোড়ানোর ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মান্দালের কেন্দ্রীয় শহর এবং পূর্ব শান স্টেইটের রাজধানী তাউংগিতেও কর্তৃপক্ষ মাদক ধ্বংস করেছে। দুইটি শহরের অবস্থানই প্রধান মাদক উৎপাদন ও বিতরণ এলাকার কাছাকাছি।
মিয়ানমার কতৃপক্ষ গতবছর ৬৪২ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের জব্দ করা মাদক পুড়িয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন ২০২০ সালে ছিল আনুমানিক ৪০০ মেট্রিক টন। কিছুটা বেড়ে ২০২১ সালে তা ৪৪০ মেট্রিক টন হয়েছে। তারপর ২০২২ সালে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৭৯০ মেট্রিক।
মিয়ানমারের রপ্তানিকৃত আফিম, হেরোইন এবং মেথামফেটামিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে ও চীনে পাচার হয়।