তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গণনা পদ্ধতি অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জুন মাসের মধ্যে বিপিএম-সিক্স (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) মডেল অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করে জানাতে হবে।
আইএমএফের ঋণের শর্তের আলোকে বিপিএম৬ অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে রিজার্ভ হওয়ার কথা ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আগামী সেপ্টেম্বরে তা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন এবং আগামী ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করতে হবে।
ডলার সংকটের এ সময়ে রিজার্ভের অবস্থান ধরে রাখতে আমদানি খরচ কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার পর চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত আমদানি কমেছে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। রপ্তানিতে ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আছে। তবে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ দ্রুত কমে যাওয়ায় রিজার্ভ আশানুরূপ বাড়েনি।
দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে।