অ্যামেরিকার নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১২ ২০২৫, ২১:৫৭

দখলকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় গত ৬ জুলাই এক ফিলিস্তিনির দেহ তল্লাশি করেন ইসরায়েলি সেনা। ছবি: মাজদি মোহাম্মদ/এপি

দখলকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় গত ৬ জুলাই এক ফিলিস্তিনির দেহ তল্লাশি করেন ইসরায়েলি সেনা। ছবি: মাজদি মোহাম্মদ/এপি

  • 0

ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

দখলকৃত পশ্চিম তীরে ২০ বছর বয়সী এক অ্যামেরিকার নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা।

ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রামাল্লাহর উত্তরে সিনজিল শহরে শুক্রবার সাইফুল্লাহ মুসাল্লেতের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে বসতি স্থাপনকারীরা।

এ বিষয়ে ফ্লোরিডার ট্যাম্পার বাসিন্দা মুসাল্লেতের স্বজনদের বক্তব্য নিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। তারা সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, এ তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

অ্যামেরিকার স্টেইট ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, পশ্চিম তীরে একজন অ্যামেরিকান নাগরিকের মৃত্যুর খবরের বিষয়ে তারা অবগত।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রিয়জনের ‘গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে’ বিস্তারিত কিছু বলতে চান না বলে বার্তা সংস্থাটিকে জানান ওই কর্মকর্তা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে নিকটাত্মীয় ফাতমাহ মুহাম্মদ জানান, ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে ফিলিস্তিনে থাকা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুসাল্লেত।

বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাকে মোহাম্মেদ শালাবি হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জীবন ও সম্পত্তির ওপর ইসরায়েলিদের হামলা নতুন নয়। অধিকার সুরক্ষা কর্মীদের হাতে আসা নথি অনুযায়ী, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা বারবার ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত অঞ্চল ও শহরে লুটপাট করেছে। একই সঙ্গে তারা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ও যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছে।

এসব বসতি স্থাপনকারীদের প্রায়ই সুরক্ষা দেয় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। কোনো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তার ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘ ও নামী মানবাধিকার সংস্থাগুলো পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখে। এসব স্থাপনাকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হয়।

ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু দেশ সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তবে গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের হামলা বেড়েছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে সহিংস কিছু বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অ্যামেরিকা, তবে তার উত্তরসূরি ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে সে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেন।