সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ফাইভ ফাইভ থ্রি তে যাত্রী ছিলেন অ্যাকিউট নার্স এমিলি রেইনস ও তার বয়ফ্রেন্ড। বাহামাসের ছুটি কাটিয়ে বাল্টিমোরে ফিরছিলেন তারা। রেইনসের বয়ফ্রেন্ডও একজন সাবেক নার্স।
মাঝ আকাশে এক সহযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের ‘জরুরি চিকিৎসা দেয়ার অভিজ্ঞতা কারও আছে কিনা’ জানতে চান। এ সময় সাড়া দেন রেইনস ও তার বন্ধু।
অসুস্থ যাত্রীর কোনো পালস পাওয়া যাচ্ছিল না, তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন।
অবিলম্বে তাকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নামেন রেইনস ও তার বয়ফ্রেন্ড। ফ্লাইটে থাকা জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম এগিয়ে দিয়ে তাদের সাহায্য করেন সহযাত্রীরা।
রেইনস বলেন, ‘আমি তার (অসুস্থ যাত্রী) কাছে পৌঁছানোর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কী করতে হবে। আমার বন্ধুকে বলেছিলাম, যদি সিপিআর দেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে তুমি সামাল দেবে, বাকি সব আমি দেখে নেব।’
অসুস্থ যাত্রী দেহের সম্পূর্ণ ভর ছেড়ে দিয়ে সিটে পড়ে যাওয়ায় অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে যায়। তার চেহারাও বিবর্ণ হতে শুরু করে।
রেইনস বলেন, ‘চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
কয়েক দফায় সিপিআরের পরে ওই যাত্রীর পালস ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন রেইনস। ক্লান্ত হয়ে গেলেও সিপিআর থামাননি তিনি।
এর প্রায় সাত মিনিট পর ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বিমানবন্দরের জরুরি সেবা কর্মীরা অসুস্থ যাত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে অসুস্থতার কারণ সম্পকৃে কোনো তথ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রেইনস জানান, ওই যাত্রীর হার্ট অ্যাটাক করেনি। তবে তার হার্ট কাজ করছিল না। হয়তো অক্সিজেনের অভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রেইনস ও তার বয়ফ্রেন্ডকে হাততালি ও হাই ফাইভ দিয়ে অভিনন্দন জানান ফ্লাইটের যাত্রীরা।