বিমানে স্বপ্নের সমাধি, বেঁচে রইল ডাক্তার দম্পতির সেলফিটি

বিমান দুর্ঘটনায় ডাক্তার প্রতীক যোশির ফোনটি হয়তো আর পাওয়া যাবে না। এটি হয়তো পুড়ে গেছে, কিন্তু অক্ষত রয়ে গেছে তার তোলা সেলফিটি। ছবি: দ্য স্কিন ডক্টর/ফেসবুক

  • 0

নতুন জীবন শুরুর স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকা চিত্রটিতে প্রতীকের পাশেই হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন তার স্ত্রী কমি। পাশের সিটগুলোতে থাকা তিন শিশু তাকিয়ে ছিল বাবার ক্যামেরার দিকে।

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরের প্যাসিফিক হসপিটালে কাজ করতেন ডাক্তার দম্পতি কমি ভিয়াস ও প্রতীক যোশি। নতুন জীবন শুরু করতে কিছুদিন আগে ভারত থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পাড়ি জমান প্রতীক। সেখানে স্ত্রী ও সন্তানকে নিতে রাজস্থানের বানসওয়ারায় আসেন এ ডাক্তার, কিন্তু বৃহস্পতিবার ফিরতি যাত্রায় আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ প্রাণ হারান এ স্বাস্থ্যকর্মী।

পরিবারটির ঘনিষ্ঠদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসক দম্পতির যমজ দুই ছেলে নকুল ও প্রদ্যুতের বয়স ছিল পাঁচ বছর। তাদের কন্যা মিরায়ার বয়স হয়েছিল আট।

‘লন্ডনে স্বামীর কাছে যেতে সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দেন কমি’, বলেন প্যাসিফিক হসপিটালের এক মুখপাত্র।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ২৪১ আরোহীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া বিমান দুর্ঘটনায় ডাক্তার প্রতীক যোশির ফোনটি হয়তো আর পাওয়া যাবে না। এটি হয়তো পুড়ে গেছে, কিন্তু অক্ষত রয়ে গেছে তার তোলা সেলফিটি।

নতুন জীবন শুরুর স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকা চিত্রটিতে প্রতীকের পাশেই হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন তার স্ত্রী কমি। পাশের সিটগুলোতে থাকা তিন শিশু তাকিয়ে ছিল বাবার ক্যামেরার দিকে।

প্রতিবেশীরা জানান, উদয়পুরের শহরের নামকরা রেডিওলজিস্ট ছিলেন প্রতীক যোশির বাবা। অন্যদিকে তার শ্বশুর ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা।

প্রতীকের নিকটাত্মীয় নয়ন জানান, লন্ডনের ফ্লাইট ধরতে যাত্রার আগের দিন সপরিবারে আহমেদাবাদ যায় ডাক্তার দম্পতি। মাত্র দুই দিন আগে স্ত্রী ও সন্তানকে লন্ডনে নিতে আসেন প্রতীক।

ডাক্তার কমি ভিয়াসের ভাই প্রবুদ্ধ জানান, ১০ বছর আগে প্রতীককে বিয়ে করেন তার বোন। প্রতীকের এক বোন রয়েছেন, যিনি প্রকৌশলী।