আসন্ন গণভোটকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক।
তিনি বলেন, এখানে প্রতিটি ভোট আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
‘এই কারণেই আমরা গণভোটের আয়োজন করেছি, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ সংস্কারদিশা নির্ধারণে জনগণ সরাসরি সিদ্ধান্ত দিতে পারেন’, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
‘এবারের নির্বাচনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একই দিনে এবার দুটি ভোট। একটি সংসদ সদস্য নির্বাচনের ভোট। আরেকটি গণভোট, যার প্রভাব হবে শতবর্ষব্যাপী’, যোগ করেন তিনি।
জুলাই সনদ জাতির ভবিষ্যৎ পথযাত্রার একটি ঐতিহাসিক দলিল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এই সনদে আমরা যে সংস্কারমালা প্রস্তাব করেছি—রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা, দুর্নীতি হ্রাস, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং সমাজে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা—এসব বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনগণের সুস্পষ্ট মতামত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারণ একটি জাতীয় রূপান্তর কখনোই একক নেতৃত্ব বা একটি প্রশাসনের মাধ্যমে টেকসই হয় না; জনগণকেই চূড়ান্ত সম্মতি দিতে হয়।’
গণভোটের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এর মাধ্যমে আপনারা জানিয়ে দিন—আপনারা কি জুলাই সনদের সংস্কার কাঠামোকে এগিয়ে নিতে চান কি না।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভোটই নির্ধারণ করবে রাষ্ট্র কোন পথে অগ্রসর হবে, প্রশাসন কোন কাঠামোয় পুনর্গঠিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন রূপ পাবে।’
ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাজেই অবশ্যই ভোট দিন। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।’